• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৩৭:২৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

যেভাবে ফাইনালে গেলো ফ্রান্স


বৃহঃস্পতিবার ১৫ই ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর ১২:৪৭



যেভাবে ফাইনালে গেলো ফ্রান্স

ছবি : সংগৃহীত

টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে ফ্রান্স। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলা মরক্কোকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দিদিয়ের দেশম শিষ্যরা। আগামী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) লুসাইল স্টেডিয়ামে নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার ম্যাচে মাইটি আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে লাঁ ব্লুজরা।

কাতার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই কানাঘুষা চলছিলো ইউরোপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপ স্টেজে বাদ পড়ার কুসংস্কার নিয়ে। যার শুরুটা আবার হয়েছিল ১৯৯৮’র বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ২০০২ বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে। মাঝে লাতিন আমেরিকার দল ব্রাজিল ছাড়া ইউরোপের যত দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রত্যেকেই পরের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে গেছে। এ কুসংস্কারের ভীতিতেই কিনা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমেই গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স। তবে সে ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান এমবাপ্পে-গ্রিজম্যানরা। ‘ইউরোপের অভিশাপ’কে রীতিমতো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রথম ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

দ্বিতীয় ম্যাচে লাঁ ব্লুজদের প্রতিপক্ষ ছিল ডেনমার্ক। ম্যাচের ৬১ ও ৮৬ মিনিটে এমবাপ্পের দেয়া জোড়া গোলের সুবাদে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। দুই জয়ে উড়তে থাকা ফ্রান্স তৃতীয় ম্যাচে তিউনিশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বসে আকস্মিকভাবেই। তবুও, ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করে ফ্রান্স।

নক আউট রাউন্ডে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ছিল পোল্যান্ড। যদিও এ ম্যাচে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি লেভানদোভস্কিরা। প্রথমার্ধে অলিভার জিরুর গোল আর এমবাপ্পের জোড়া গোলের সুবাদে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় লাঁ ব্লুজরা। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১৭ মিনিটে শুয়েমেনির দেয়া গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৫৪ মিনিটে হ্যারি কেনের নেয়া স্পটকিক থেকে ইংল্যান্ড সমতায় ফিরলেও ৭৮ মিনিটে জিরুর দেয়া জয়সূচক গোলে ২-১ ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফ্রান্স।

সেমিফাইনালে অ্যাটলাস লায়ন মরক্কোর মুখোমুখি হন গ্রিজম্যান-ভারানরা। এদিন, ম্যাচের শুরুতেই আকস্মিক এক আক্রমণ থেকে থিও হার্নান্দেসের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এরপর, চলে শুধু আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। আক্রমণের বেশিরভাগই ছিল মরক্কোর করা। দারুণ কিছু গোলের সুযোগ পেয়েও এদিন সেগুলো কোনো কাজে লাগাতে পারেননি মুর অ্যাটাকাররা। উপরন্তু, ম্যাচের ৭৯ মিনিটে আকস্মিক আরও একটি গোল খেয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়েন শাকিরি-নাসিরিরা। ফলে, এ ম্যাচে ২-০ ব্যবধানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় লাঁ ব্লুজদের।

এখন বিশ্বকাপের শেষটাও দেশম শিষ্যরা স্বপ্ন মতো শেষ করতে পারেন কিনা সেটিই দেখার বিষয়। সেজন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ





















-->