আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে বেলারুশের ভূখণ্ডে নতুন করে ওয়াগনার বাহিনীর জন্য ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র এবং বেলারুশের একটি গেরিলা গোষ্ঠীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
চিত্রগুলো তুলেছে প্ল্যানেট ল্যাব পিএলসির মালিকানাধীন একটি স্যাটেলাইট। চিত্র থেকে দেখা গেছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২৩০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত বেলারুশীয় অঞ্চল অসিপভিচিতে পরিত্যক্ত একটি সেনা ঘাঁটিকে আবারও নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
ছবি বিশ্লেষণে জানা গেছে, ৩০ জুন ওই এলাকার তোলা ছবিতে স্পষ্ট সাদা এবং সবুজ রঙের অবকাঠামো বা তাঁবুর অস্তিত্ব রয়েছে বলে দেখা গেছে। অথচ, এর আগে গত ১৫ জুন ওই একই এলাকার তোলা ছবিতে কোনো ধরনে নতুন অবকাঠামোর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ওয়াগনারের নতুন ঘাঁটি গড়ে তোলার বিষয়টি নিশ্চিতের দাবি করেছেন, লুকাশেঙ্কোবিরোধী গেরিলা গোষ্ঠী বিওয়াইপিওএল-এর নেতা আলিকসান্দার আজারাউ। এপির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে আজারাউ দাবি করেন, অসিপভিচির নিকটেই ওয়াগনারের জন্য নতুন ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে।
এর আগে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছিলেন, তিনি তার দেশের একটি পরিত্যক্ত সেনা ঘাঁটিতে ডেরা গড়তে ওয়াগনারকে প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওয়াগনার বাহিনীর যে অভিজ্ঞতা এবং সরঞ্জাম রয়েছে তা তিনি বেলারুশের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন।
এদিকে ইউক্রেনীয় বর্ডার ফোর্সের মুখপাত্র আন্দ্রেই দেমশেঙ্কো জানিয়েছেন, বেলারুশ প্রায় ৮ হাজার ওয়াগনার সেনাকে ইউক্রেনের সীমান্ত বরাবর মোতায়েন করতে পারে। জবাবে, ইউক্রেনও বেলারুশের সঙ্গে থাকা দীর্ঘ ১ হাজার ৮৪ কিলোমিটার সীমান্তে নিজেদের অবস্থান জোরদার করবে।
গত ২৩ জুন ওয়াগনার গ্রুপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এমনকি ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে তারা রাশিয়ায় প্রবেশ করে সীমান্তবর্তী একটি সেনা ঘাঁটিও দখল করে নেয়। পরে অবশ্য বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থামায় ওয়াগনার।
সে সময়কার চুক্তি অনুসারে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনকে রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। পাশাপাশি ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যদের প্রিগোজিনের সঙ্গে থাকার অথবা রুশ সেনাবাহিনীতে একীভূত হয়ে যাওয়া প্রস্তাবও দেয়া হয়।
মন্তব্য করুনঃ