• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৭:৩৫:৩৪ (20-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

১০:৫২ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০২২


ক্যাটাগরি

বাংলাদেশ
রাজনীতি
আওয়ামী লীগ

জেলহত্যায় জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের দাবী চার নেতার পরিবারের


বৃহঃস্পতিবার ৩রা নভেম্বর ২০২২ সকাল ১০:৫২



জেলহত্যায় জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের দাবী চার নেতার পরিবারের

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল্যবোধকে চিরতরে ধ্বংস করতেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় হলেও মূল আসামিরা ছিলো ধরাছোঁয়ার বাইরে। কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচনের পাশাপাশি বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জাতীয় চার নেতার পরিবারের।

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সাল। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত দেশকে গড়ার চেষ্টা স্বাধীনতাকামীদের। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ছিল তার ঘনিষ্ঠ চার সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এইচএম কামারুজ্জামান ও এম মনসুর আলী।

বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পরপরই তৎকালীন খন্দকার মুশতাকের নির্দেশে বন্দি করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। ওই সময় সেনাবাহিনীর ভেতরে-বাইরে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান নিয়ে নানা রকম কথাও শোনা যায়।

সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর কারাফটকের সামনে এসে দাঁড়ায়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মুশতাক কারা মহাপরিদর্শককে ফোনে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানান। পরে নীলনকশা অনুযায়ী গভীর রাতে কারা অভ্যন্তরে তাদেরকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে সেনারা।

জাতীয় চার নেতার পরিবার বলছে, বিচার হলেও হত্যার মূল নায়করা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় ভুল ইতিহাস শিখছে নতুন প্রজন্ম।

তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ বলেন, ‘এ ঘটনাগুলো কীভাবে ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে এবং পেছনে কারা আছে, অনেক সময় আইনিভাবে গিয়ে কিছু উম্মোচন করা সম্ভব হয় না। সুতরাং একটা কমিশন করে, আমরা যদি সত্যটা বের করে নিয়ে আসতে পারতাম, তাহলে আমাদের দেশ ও জাতি উপকৃত হতো।’

কমিশন গঠন করে বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি হত্যাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করারও দাবি তার।

সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি বলেন, ‘শাস্তির আওতায় কিন্তু সবাইকে আনা যায়নি। সেই দশজন এখনো পলাতক আছে, তারা কোথায় আছে কেউ জানে না। আমাদের একটাই দাবি, বিদেশে পালিয়ে থাকা যারা শাস্তি পেয়েছে তাদের দেশে এনে বিচারের আওতায় আনা হোক। জেলখানার ভেতর যেভাবে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো, কিছু মেজর বা কিছু সিপাই- এটা কি তাদের কাজ, তাদের পেছনে কারা ছিল?’

জাতীয় জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনেরও দাবি জাতীয় চার নেতার পরিবারের।

প্রসঙ্গত: স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন ৩ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দিনটিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ