ফুটবল বিশ্বকাপের মুখ্য বিষয় হলো বল। বিশ্বকাপে ব্যবহৃত বলের তাই বিশেষত্বও আলাদা। আর প্রতিবারের মতো এবারও বিশ্বকাপের জন্য কয়েক হাজার ফুটবল ব্যবহৃত হচ্ছে। ম্যাচ ছাড়াও অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রতিটি দলের জন্য বরাদ্দ থাকে বল। আর এসব বিশেষ বল প্রতিবারই আসে পাকিস্তানের শিয়ালকোট থেকে। খবর ডনের
খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় কিট, বল, জার্সি সবকিছুই সরবরাহ করে ফিফার স্পন্সর কম্পানি অ্যাডিডাস। আর অ্যাডিডাসের সাথে পাকিস্তানের ফরোয়ার্ড স্পোর্টস কোম্পানি প্রায় ২০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকেই প্রত্যেকটি বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হচ্ছে ফরোয়ার্ড স্পোর্টসের বানানো ফুটবল।
এ নিয়ে ফরোয়ার্ড স্পোর্টসের পরিচালক হাসান মাসুদ খাজা বলেন, কলোনিয়াল শাসনের সময় থেকেই আমাদের এখানে স্পোর্টস সরঞ্জাম উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হয়। আমরা আমাদের কোম্পানি শুরু করেছি ১৯৯১ সাল থেকে। এখানকার মানুষের ধরনই খুব দ্রুত কাজ শিখতে সাহায্য করে। আমাদের আবহাওয়া ও প্রকৃতিও সাহায্য করে সেরা বলগুলো তৈরি করতে। অ্যাডিডাসের সাথে আমরা দীর্ঘ দিন কাজ করেছি। ২০১৪ সালে আমরা প্রথম বিশ্বকাপের জন্য অর্ডার নিশ্চিত করি।
এখানকার মানুষ বিশ্ব পর্যায়ে নিজের কাজ দেখে খুবই গর্বিত। যদিও সারা দিন কাজ করার পর ফুটবল ম্যাচ দেখার ফুসরত মেলে না তাদের। তাই নিজের বানানো বলে মেসি-নেইমারদের স্পর্শ আর দেখা হয় না তাদের।
এই কোম্পানির বল তৈরির এক কারিগর বলেন, আমরা সারাদিন কাজ করি। রাতে বাসায় যাওয়ার পর আমাদের বিশ্রাম নিতে হয়। তাই ফুটবল ম্যাচ দেখার একদমই সময় পাই না। তবে আমরা খুবই গর্বিত, আমাদের তৈরি করা বল সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা আমাদের বলের মান আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
নিজেদের বানানো বল দিয়ে বিশ্ব আসরে খেলছে অন্য দেশ। বিশ্বের ফুটবল জগতের অন্যতম বড় এ আসরে নেই নিজেদের দেশ পাকিস্তানে নাম। তাই শিয়ালকোটের মানুষের স্বপ্ন, তাদের বানানো বলেই একদিন বিশ্ব মাতাবে পাকিস্তান।
মন্তব্য করুনঃ