আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের বিদ্রোহের পর থেকে দেশটির আলোচিত জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছিল না। তবে এখন একটি নতুন ছবিতে তাঁকে দেখা গেছে বলে খবর বেরিয়েছে।
রাশিয়ার একজন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে সুরোভিকিনের নতুন ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল সোমবার রাশিয়ার একজন খ্যাতিমান স্বাধীন সাংবাদিক দাবি করেছেন, সুরোভিকিন এখন তাঁর পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে আছেন।
রাশিয়ার সুপরিচিত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কেসেনিয়া সোবচাক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে সুরোভিকিনের নতুন ছবিটি দিয়েছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, সুরোভিকিন জীবিত ও সুস্থ আছেন। তিনি মস্কোর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আছেন। ছবি গতকাল তোলা।
ছবিটিতে সুরোভিকিনের মতো দেখতে এক পুরুষকে মাথায় ক্যাপ ও সানগ্লাস পরা অবস্থায় হাঁটতে দেখা যায়। তাঁর পাশাপাশি হাঁটতে দেখা যায় এক নারীকে। তিনি দেখতে সুরোভিকিনের স্ত্রী আন্নার মতো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে ছবিটি যাচাই করতে পারেনি।
রুশ সাংবাদিক আলেক্সি ভেনেডিকতভও তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, জেনারেল সুরোভিকিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে আছেন। তিনি ছুটিতে আছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন তিনি।
গত মাসে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএর খবরে বলা হয়েছিল, রুশ বিমানবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে জেনারেল সুরোভিকিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে চলমান রুশ যুদ্ধে একসময় কমান্ডার ছিলেন সুরোভিকিন। তিনি ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সামরিক ইউনিটের কমান্ডার ইন চিফের দায়িত্ব পালন করেন।
রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সুরোভিকিনকে ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনারের সেনারা, তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন। এই অসন্তুষ্টি থেকে তিনি গত জুন মাসের শেষ দিকে বিদ্রোহ করেছিলেন। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কো অভিমুখে ভাগনার সেনাসহ যাত্রা করেছিলেন তিনি। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় অভিযাত্রা বন্ধ করেছিলেন তিনি। সমঝোতায় বলা হয়েছিল, প্রিগোশিন তাঁর অনুগত যোদ্ধাদের নিয়ে বেলারুশে চলে যাবেন।
প্রিগোশিনের বিদ্রোহের পর থেকে সুরোভিকিনকে জনসমক্ষে দেখা না যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। গত মাসের শেষ দিকে রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন প্রিগোশিন।
মন্তব্য করুনঃ