মো. উজ্জ্বল মিয়া, গলাচিপা, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
ঘূণিঝড় রেমাল তান্ডব চালিয়ে বিদায় নিলেও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। উপজেলায় সম্পূর্ণ ঘর ভেঙেছে ৯৪৭ টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০টি।
মাছের ঘের সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫৭ হেক্টর এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭৬০ হেক্টর। বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫.৬ কি.মি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ কি.মি। বনাঞ্চল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হেক্টর, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৩শ ১০ হেক্টর। পাশাপাশি নার্সারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হেক্টর। কাঁচা-পাকা সড়ক সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০০ কি.মি।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক, গৃহপালিত পশু-পাখি ভেসে গেছে প্রায় ৫ হাজার। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৫০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে দ্রুত সহায়তার দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্থরা।
তবে দুর্যোগকালীন সময়ে পানপট্টি বোর্ড এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয়দের সহায়তায় মূল বাঁধের পাশ দিয়ে আরেকটি বাঁধ তৈরি করা হয়। এছাড়া ডাকুয়া ইউনিয়নের তেঁতুলতলায় নতুন করে কয়েক হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয় । এরফলে বেড়িবাঁধ বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আছেন বলে জানান এই জনপ্রতিনিধিরা।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
মন্তব্য করুনঃ