চ্যানেল এস ডেস্ক:
শুরু হলো মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি আর সংযমের মাস পবিত্র রমজান।দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার রাতে তারাবির নামাজ পড়ার পর ভোরে সূর্যোদয়ের আগে সেহরি খেয়ে শুক্রবার প্রথম রোজা রাখবেন ।
বৃহস্পতিবার সূর্য ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় আরবী ১৪৩৯ হিজরী সনের শাবান মাস। এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে রোজার আনুষ্ঠানিকতা। আর সংযমের মাস পবিত্র রমজান শুক্রবার (২৩ মার্চ) থেকে শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আজ রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। এরপর ভোরে সেহরি খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কাল রাখবেন প্রথম রোজা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় আজ সেহরির শেষ সময় ভোর রাত ৩টা ৪৬ মিনিট এবং আগামীকালের ইফতার হবে সন্ধ্যা ৬ টা ৩৯ মিনিটে।
এদিকে, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে বুধবার সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। সেখানে আজ প্রথম রোজা রাখছেন মুসলমানরা।
হিজরী সালের শাবান মাসের সমাপ্তির পর প্রতিবছর মানবজীবনের সকল কালিমা দূর করার বিশেষত্ব নিয়ে আগমন মাহে রমযানের। রমযান শব্দের আভিধানিক অর্থ আত্মসংযম। ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভের অন্যতম রোজা— পবিত্র রমযান মাসেই মুসলিম জাতির ওপর রোজা ফরজ করা হয়। রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, মাঝের ১০ দিন মাগফেরাতের আর শেষের ১০ দিন নাজাতের।
রমজানকে বলা হয় আত্মশুদ্ধি ও সংযমের মাস। পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার এ মাসে সংযম সাধনা ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন মুসলমানরা। মাসব্যাপী তারাবির নামাজ আদায় এবং ভোররাতে সেহরি খেয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার না করে সংযম পালন করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। যাবতীয় কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ করে মহান আল্লাহ তায়ালার একনিষ্ঠ বান্দা হওয়ার চেষ্টায় রত হন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ মাসেই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর ওপর অবতীর্ন হয় মানবমুক্তির সনদ পবিত্র কুরআন মাজিদ।
হাদিসে আছে, এ মাসে যেকোন ইবাদতে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব পাওয়া যায়। আর তাই মুসলমানরা এই এক মাস সিয়াম সাধনার পাশাপাশি বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও করুণা অর্জনে সচেষ্ট থাকেন।
মহান আল্লাহর করুণা ও অপার রহমত প্রাপ্তির সৌভাগ্য মেলে এ মাসে। পাপ- পঙ্কিলতা থেকে মুক্তির সুযোগ এনে দেয় রমযান। অন্য মাসের তুলনায় ইবাদতের সওয়াবও বাড়িয়ে দেয়া হয় বহুগুণে।
শ্রেষ্ঠতম এ মাসে ইবাদাত-বন্দেগী করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে ধাবিত হতে চান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা, বিরত থাকেন যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে।
মন্তব্য করুনঃ