• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৫ই চৈত্র ১৪৩০ বিকাল ০৪:১২:১৫ (19-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:

মহাকাশে ফুটল ফুল

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে এবার গাছে ফুল ফুটেছে। এতে করে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন হয়তো সেখানে তাদের সবজি উৎপাদন প্রকল্পও সফল হতে যাচ্ছে আর এতে করে সেখানে নভোচারীদের খাবারের চাহিদা কিছুটা হলেও মেটানো যাবে। জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে, মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।দীর্ঘদিন ধরে নভোচারী এবং বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে খাদ্যশস্য ও গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মহাকাশে কীভাবে কৃষিকাজ করতে হবে। সে সম্পর্কে ধারণা পেতে কাজটি বিজ্ঞানীদের জন্য জরুরি। এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফুল ফুটে থাকা একটি জিনিয়াগাছের ছবি প্রকাশ করেছে। জিনিয়া ফুলটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) ফুটেছে। খবর জিও নিউজ।এতে নাসার বিজ্ঞানীর আশার আলো দেখছেন। জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।১৯৭০ সাল থেকে মহাকাশে উদ্ভিদের চাষাবাদ নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। তবে মহাকাশে ফুল জন্মানোর প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৫ সালে। মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন এ কাজটি শুরু করেন। লিন্ডগ্রেন তখন মহাকাশে ‘সবজি উৎপাদনব্যবস্থা’ চালু করেছিলেন এবং জিনিয়া ফুলের বীজ লাগিয়েছিলেন।মহাকাশে বাগান করার গুরুত্ব উল্লেখ করে নাসা আরও লিখেছে, ‘মহাকাশে বাগান করাটা আমাদের জন্য লোক দেখানো কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর কক্ষপথে (মহাকাশে) কীভাবে গাছ জন্মাতে হবে, তা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারব পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা যায়। আমরা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মতো দীর্ঘমেয়াদি অভিযানগুলোতে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করতে পারব।’নাসার মহাকাশচারীরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে টমেটো, লেটুস এবং অন্যান্য শাকসবজি জন্মিয়েছেন। আরও নতুন কিছু চাষাবাদের স্বপ্ন দেখছেন তারা।২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাসার দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, মহাকাশে জিনিয়া ফুল ফোটানোর জন্য যে ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তার আলোকে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারবেন। তারা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও গাছ জন্মানো যাবে। আর মহাকাশচারীরা এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে নিজস্ব বাগান তৈরির চর্চা করতে পারবেন।  ইনস্টাগ্রামে ওই পোস্ট দেওয়ার পর অনেকেই তখন নভোচারীদের বাগান দেখে চমকে গিয়েছিলেন। পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।