কাজী জোবায়ের আহমেদ, দোহার প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহার উপজেলায় মাশরুম চাষে একজন সফল উদ্যোক্তা শাহিন মোল্লা। উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের কুলছড়ি গ্রামে গড়ে তুলেছেন মোল্লা মাশরুম নামে বৃহত একটি খামার।
শুরুটা ছিলো খুব ছোট পরিসরে। উদ্যোক্তা শাহিন মোল্লা জানান, সাভারে মাশরুম উন্নয়ন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৯ সালে মাত্র এক কেজি মাশরুম দিয়ে সখের বসে চাষ শুরু করেন। এরপর ২০২০ সালে বাণিজ্যিকভাবে মাশরমের চাষ করেন তিনি। বর্তমানে ৭০ থেকে ১০০ কেজি মাশরুম তৈরি করেন খামারে।
প্রথমদিকে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বীজ কিনে মাশরুম চাষ করলেও, বর্তমানে নিজেই বীজ তৈরি করছেন শাহিন মোল্লা।চাষের পাশাপাশি বিক্রিও করেন মাশরুম।
শ্রমিকদের দিয়ে স্পন প্যাকেটের পর, ১২১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জীবানুমুক্ত করে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয় করা হয় মাশরুম। শীত ও গরমে তিন প্রকারের মাশরুম তৈরি করেন শাহিন। বছরে বিক্রি করেন প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো।
এরই মধ্যে দোহার উপজেলা যুব উন্নয়ন ও কৃষি অধিদপ্তর থেকে শিক্ষিত বেকারদের প্রশিক্ষণের জন্য কয়েকটি টিম শাহীনের মোল্লা মাশরুম খামারে পাঠানো হয়েছে। মাশরুম চাষ প্রণালি সম্পর্কে উপযোগী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের। বর্তমানে এ অঞ্চলে মাশরুমের পাশাপাশি বীজেরও চাহিদা বাড়ায় খামারেই মাশরুমের বীজ গবেষণা ল্যাব স্থাপন করেছেন শাহিন। সরকারি সহায়তায় উন্নত প্রযুক্তি পেলে মাশরুমের উৎপাদন আরও বৃদ্ধিপাবে বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।
মাশরুমের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা বলেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আর কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ ছাড়া মাশরুম চাষ করলে সফলতার সম্ভাবনা কম।
আগামীতে তরুণরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আরো বেশি মাশরুম চাষে আগ্রহী হবেন, পাশাপাশি পরিবার ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুনঃ