দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সড়ক ও নৌপথে বৃদ্ধি পাচ্ছে অত্যাধুনিক যানবাহন। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে যুক্ত হচ্ছে সিএস কর্পোরেশনের চারতলা বিশিষ্ট ময়ূর-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চ। আগামী নভেম্বর মাসে লঞ্চটি ঢাকা-চাঁদপুর রুটে যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি ও সুপারভাইজার আবু সাঈদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, লঞ্চটিতে ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পর্দা, লাইটিং, ফিনিশিং, রং, ফ্যান, এসি লাগানোসহ যাবতীয় ক্যাবল ওয়ারিং ও সিলিং ডেকোরেশনের কাজসহ টুকিটাকি কাজ করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনা রোধে লঞ্চটিতে ১ হাজার ৫০ হস পাওয়ারের দুটো চায়না ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। হাইড্রোলিক গিয়ার, ফায়ার বকেট, উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও জিপিএস রয়েছে। এছাড়া ডুবোচর ও পানির পরিমাণ নির্ধারণ করে বসানো হচ্ছে ইকো সাউন্ডার। সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের অনুমোদন ক্রমে ট্রায়াল পর্যায়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাত্রীদের সেবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি ও সুপারভাইজার আবু সাঈদ বলেন, আমাদের সিএস কর্পোরেশনের ময়ূর-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চটি ২০১৮ সালে তৈরি শুরু হয়। প্রথমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। পরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে এখন মালিক নিজে এর তদারকি করছেন। আমরা আশা করি, আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত হবে এটি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৯০ ভাগ কাজ প্রায় শেষ। এটি চারতলা বিশিষ্ট লঞ্চ। এর ভেতরে ১৮টা ডাবল কেবিন, ৪২টা সিঙ্গেল কেবিন, ৪টা ভিআইপি ও ৪টা ফ্যামিলি কেবিন এবং ৪টা সেমি ভিআইপি কেবিন রয়েছে। ইঞ্জিন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন ডেকোরেশনের কাজ চলছে। আশা করি নভেম্বর মাসে লঞ্চটি ঢাকা-চাঁদপুর রুটে সংযুক্ত হতে পারবে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, এমভি ময়ূর-১০ নামে একটি লঞ্চ ঢাকা-চাঁদপুর রুটে যাত্রী সাধারণের জন্য একটি আধুনিক লঞ্চ। লঞ্চটি চারতলা বিশিষ্ট। এটি শিগগিরই এই রুটে সংযুক্ত হবে।
মন্তব্য করুনঃ