চ্যানেল এস ডেস্ক:
গাজীপুরের তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিয়ে বোর্ড সভা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকদের সাথে একটি বোর্ড সভা করেন তিনি।
সভায় ভর্তিকৃত রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আহতদের মধ্যে কতজন শিশু, কতজনের অবস্থা বেশি গুরুতর, কতজন আইসিইউ, এইসডিওতে ভর্তি আছেন, তার খোঁজ নেন তিনি।
তিনি বলেন, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় তিনি নিজে বহন করবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতো করে আমাদের চিন্তা করতে হবে। দগ্ধ রোগীদের অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টায় যেন কোনো রকম অবহেলা না থাকে। এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টায় যেন কোনো রকম অবহেলা না থাকে। এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৩২ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। এই ৩২ জনের মধ্যে ৫ জন রোগী আইসিইউ এবং ২ জন এইচডিইউতে ভর্তি। রোগীদের মধ্যে শতভাগ দগ্ধ রোগী আছেন একজন, ৯৫ শতাংশ দগ্ধ রোগী রয়েছেন ৩ জন এবং ৫০ ভাগের বেশি দগ্ধ রোগী আছে মোট ১৬ জন।
ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক (রেডিওলোজি) ডা. খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা।
এর আগে, বুধবার (১৩ মার্চ) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ইফতারের আগ মুহূর্তে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণে মোট ৪০ জন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেয়ার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এ সময় সিলিন্ডারটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। এতে রাস্তায় থাকা লোকজনও দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন।
মন্তব্য করুনঃ