এর আগে এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর অধিকারের পর্যবেক্ষক নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর অধিকারের পক্ষ থেকে সে বছরের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত।
চলতি বছরের ২৯ জুন ওই রুলের ওপর প্রথম শুনানি হয়। তৃতীয় দফা শুনানি শেষে আজ (২৪ আগস্ট) রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত ছিল।
রায় ঘোষণার আগে অধিকারের আইনজীবী অ্যাডভোকোট মো. আহসানুজ্জামান রিট পিটিশনটি প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা ‘ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন’ ঘোষণা করেন। ফলে ওই রিটের কার্যক্রম এখানেই সমাপ্ত হলো।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার কামরুন নাহার মাহমুদ দীপা।
১৯৯৪ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার'। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে সংস্থাটি নিবন্ধন নবায়নের জন্য আবেদন করে।
আবেদন মঞ্জুর না করায় সংস্থাটি ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করে। রিট আবেদনে অধিকার-এর নিবন্ধন নবায়নে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ মে রুল জারি করেন আদালত।
মন্তব্য করুনঃ