সীমান্ত নিরাপত্তা ও নাব্য সংকটে চলতি মৌসুমে বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। এ অবস্থায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। আর সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত স্বাভাবিক রাখতে বিকল্প রুট টেকনাফ সৈকতের সাবরাং পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমার নাফ নদী। পর্যটন মৌসুমে জলসীমার নাফ নদী দিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে যাতায়াত করে পর্যটকবাহী জাহাজ। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত ও নাফ নদীতে নাব্য সংকটে চলতি বছর বন্ধ রয়েছে জাহাজ চলাচল।
তবে বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে একটি জাহাজ চলাচল করছে। এই জাহাজে প্রতিদিন সেন্টমার্টিন যাচ্ছে ৭০০ এর মতো পর্যটক। কিন্তু অল্প সংখ্যক পর্যটকের আগমনে ব্যবসা বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দ্বীপে বসবাসকারীরা।
ট্যুর অপারেটরের সভাপতি আনোয়ার কামাল ও সী ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় চরম অনিশ্চিতায় পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
তবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বিকল্প রুট হিসেবে টেকনাফ সৈকতের সাবরাং পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা। আর দ্বীপের ৯৫ ভাগ মানুষ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল বলে জানান সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের মো. মুজিবুর রহমান।
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বসবাস করে ১১ হাজারের বেশি মানুষ। আর এই দ্বীপে পর্যটন মৌসুমে ৪ থেকে ৫ মাস পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
মন্তব্য করুনঃ