চ্যানেল এস ডেস্ক:
মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের বিজয় মিছিলে বোমা হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) মাদারীপুরের কালকিনির ফাসিয়াতলা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের ফরজউদ্দিন সরদারের ছেলের এমরাত সরদার (৪০), একই গ্রামের এরশাদ আলী সরদারের ছেলে আক্কেল আলী সরদার (৪০), দক্ষিণ কানাইপুর গ্রামের আতাউল মৃধার ছেলে আবু বকর (৩০), মিরাকান্দি গ্রামের শাজাহান ফকিরের ছেলে রুবেল ফকির (২৬), একই গ্রামের জামাল চৌকিদারের ছেলে আজিম চৌকিদার (২৫), টুমচর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে এসরাক (১৬), আলিনগর গ্রামের বেল্লাল ফকিরের ছেলে রফিক ফকির (২৫) ও বাকিদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে পরাজিত করে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। সোমবার সকালে তাহমিনার সমর্থক আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি কালিগঞ্জ থেকে ফাসিয়াতলা বাজারের যাবার পথে আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিদ পারভেজের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমাও নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
আহতদের স্বজনরা জানায়, বিজয় মিছিলের সামনে ও পেছনে থেকে এই বোমা হামলা চালানো হয়। বৃষ্টির মতো ছুঁড়তে থাকে বোমা। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম (সদ্য বিজয়ী) বেগম বলেন, ‘এই ঘটনা অতি জঘন্য অপরাধ। নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাস করতেই পারে, এজন্য এমন বোমা হামলা করবে! এ ঘটনার বিচার হওয়া দরকার।’
অভিযুক্ত শাহিদ পারভেজ বলেন, ‘হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের লোকজন নিজেরাই প্রথমে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। নিজেরাই ককটেল ও হাতবোমা ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে। আমি কিংবা আমার লোকজন এই হামলায় জড়িত নই। স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে আমার ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। আমি রোববার রাতেই রাজধানী ঢাকায় চলে গিয়েছি। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ড. রিয়াদ মাহমুদ জানান, বোমা হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে বেশ কয়েকজন এসেছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আহতদের সবার শরীরে বোমার আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’
মন্তব্য করুনঃ