চ্যানেল এস ডেস্ক:
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি একের পর এক কূপ খনন ও পুনর্খননের মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাসের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই আরও ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বিগত ২০২২ সালে দেশে প্রকট গ্যাস সংকটে সংশ্লিষ্টদের যখন কপালে ভাঁজ, তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি দেশি কোম্পানিকে ৪৬টি কূপ খনন ও পুনর্খননের নির্দেশনা দেন। এগুলো থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দৈনিক ৬১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করার টার্গেট দেয়া হয়েছে।
এখন সেই টার্গেট পূরণে দিনরাত কাজ করছে কোম্পানিগুলো। এর ধারাবাহিকতায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের মাধ্যমে দৈনিক ১৬ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহে দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর এত দ্রুত একটার পর একটা গ্যাসকূপ সক্রিয়, খনন ও অনুসন্ধানের কাজ আর কখনো হয়নি।
বন্ধ হওয়া কূপগুলো পুনর্খননে এ খাতে নতুন নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। কৈলাশটিলা-২ কূপ খননের পর মিলেছে নতুন স্তর। সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির কৈলাশটিলা-২ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ফরহাদুজ্জামান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পর কৈলাশটিলা-২ নম্বর কূপ পুনর্খনন করা হয়। খননের পর পাওয়া গেছে নতুন স্তর।
তিনি বলেন, ‘কৈলাশটিলা-২ কূপ থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। চলতি সপ্তাহ থেকেই জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ শুরু হবে। এই কূপে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার গ্যাস মজুদ রয়েছে।’
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানিকে কৈলাশটিলা-২, রশিদপুর-২ ও ৫ এবং সিলেট-৭ নম্বর কূপ পুনর্খননের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
কৈলাশটিলা-২-এর কাজ শেষে শিগগিরই রশিদপুর-২ পুনর্খননের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান বাপেক্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মহসিনুল আলম।
আর সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ৪৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান করে নতুন চারটি কূপের সন্ধান পেয়েছে।
মন্তব্য করুনঃ