• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:২১:২৭ (20-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

শিল্পী সমিতি থেকে স্থগিত হচ্ছে জায়েদ খানের সদস্যপদ!


শনিবার ১লা এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৩:৪৮



শিল্পী সমিতি থেকে স্থগিত হচ্ছে জায়েদ খানের সদস্যপদ!

ছবি সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক: 

ঢালিউডে খবর রটেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ স্থগিত হতে পারে জায়েদ খানের। এদিকে অভিনেতা রুবেল ও অভিনেত্রী সুচরিতার সদস্যপদ ইতোমধ্যেই স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জায়েদ খান জানালেন তার বিরুদ্ধে অপকর্ম চালানোর কথা। 

রোববার (০২ এপ্রিল) জরুরি সভা ডেকেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি। জানা গেছে, মিটিং এর মূল আলোচনার বিষয় জায়েদ খান। এই জরুরি সভা থেকে আসতে পারে জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এ নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করছেন না কমিটির কোনো সদস্য। 

এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি যখন মুম্বাই ছিলেন ঠিক তখনই তাকে চিঠি পাঠানো হয়। যাতে তিনি উত্তর দিতে না পারেন। 

জায়েদ খানের কথায়, 'আমার বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম চালানো হচ্ছে। এর আগে, রুবেল ভাই ও সুচরিতা আপার কার্যনির্বাহী পদ বাতিল করা হয়েছে। এবার আমার পেছনে লেগেছে।' 

জায়েদ খানকে পাঠানো কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারাটি এমন যে, সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। 

এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেন জায়েদ খান। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটির মামলায় এখনো বিচারকাজ চলছে। 

জায়েদ খানের কথায়, 'হাইকোর্ট আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রায় দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে নিপুণ আপিল করেছে, যে আপিলটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কীভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।' 

জায়েদ খানের দাবি, 'জোর করে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সদস্যপদ বাতিলের পাঁয়তারা করছে।' 

এদিকে গত ২০২১-২৩ মেয়াদি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কার্যনিবাহী সদস্য হিসেবে 'সুচরিতা' আর সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন 'রুবেল'। পরে কার্যনিবাহী কমিটির ৩টি মিটিং এ অংশগ্রহণ করেননি এবং সমিতির উন্নয়নমূলক কোনো কাজে দেখা যায়নি বলে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি। 

এ বিষয়ে জায়েদ খানের দাবি, 'রুবেল ও সুচরিতার সঙ্গেও অন্যায় হয়েছে। আদালত যখন সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার রায় দিয়েছেন, তখন তারা কেউই সমিতির মিটিংয়ে যায়নি। তাই তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিঠি দিতে পারেন সাধারণ সম্পাদক অথবা সহসাধারণ সম্পাদক। ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব তো সমিতির সভাপতি হিসেবে তাদের চিঠি দিতে পারেন না।' 

এখন পর্যন্ত এসব অভিযোগ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ আক্তারের পক্ষে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুনঃ