চ্যানেল এস ডেস্ক:
চা হয়ে ওঠেছে মানুষের নিত্যসঙ্গী। এই চায়ের প্রেমে পড়েছেন অনেক বাঙালি মনীষীরাও। এদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, দীনেশচন্দ্র সেন, প্রমথ চৌধুরী প্রমুখ। তাদের বিভিন্ন লেখায় ও অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকের স্মৃতিকথায় প্রকাশ পেয়েছে চায়ের প্রতি তাদের অনুরাগ।
চায়ে মুগ্ধ কবি নজরুল ‘চা-স্তোত্র’ নামে চায়ের স্তবগান রচনা করেছেন। আর প্রমথ চৌধুরী লিখেছিলেন- ‘চা পান করলে নেশা না হোক, চা পানের নেশা হয়।’
চা এসেছে চীন থেকে। বছরের পর বছর ধরে চা নিয়ে হয়েছে নানান গবেষণা। বিভিন্ন সময়ে গরম পানির সাথে গুল্ম ও পাতা মিশিয়ে পান করা হয়েছে চা।
চায়ের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ গরম পানির সঙ্গে কয়েক টুকরো চা পাতা মিশিয়ে পান করা। এই পাতা ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়।
এশিয়ায় গরম চা পান শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। আর ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপে চা প্রবেশ করে এবং ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন। পরে ব্রিটিশ ভারতে চায়ের উৎপাদন শুরু হলে বিশ্বব্যাপী এটি একটি শিল্প হয়ে ওঠে।
চা-কর্মী ও উৎপাদকদের ওপর বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রভাব সরকার ও জনগণের সামনে তুলে ধরতে এবং অর্থনৈতিক সমর্থন ও ন্যায্য বাণিজ্যের সংযোগ স্থাপন করার উদ্দেশ্যে বিশ্ব চা দিবস পালন শুরু হয়।
২০০৪ সালে বিশ্ব সামাজিক সম্মেলনের পর ২০০৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক চা দিবস উদযাপন করা হয় ভারতের নয়া দিল্লিতে। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী চা দিবস পালন করা হয়।
মন্তব্য করুনঃ