ফাইল ফটো
বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটি এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর মধ্যদিয়ে ১৩ বছর পর দুলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি সচল করা হলো।
বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ-এক কোটি ৬১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ২০০৯ সালে জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায় মামলার কার্যক্রম। দুলুসহ সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র, মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির মামলা সচলের আদেশ এসেছে সর্বোচ্চ আদালত থেকে।
এর আগে গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) হাইকোর্টের একই বেঞ্চে অধ্যক্ষ দুলুর মামলাটির ওপর শুনানি হয়। এর পর এ বিষয়ে আরও শুনানি ও আদেশ দেয়ার জন্য দিন ধার্য করা হয় সোমবার ৭ নভেম্বর।
অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিচার শুরুর জন্য বিষয়টি সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে উত্থাপন করে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা বিচার কার্যক্রম সচলের উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর থানায় অধ্যক্ষ দুলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ওই বছরই চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এরপর মামলাটি বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্ট ২০১০ সালে বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে রুলও জারি করেন। সেই থেকে বন্ধ ছিল মামলাটির বিচার কার্যক্রম।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দীর্ঘদিন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে মামলাটির বিচার কাজ বন্ধ ছিল। বিচারের পথ খোলার জন্য বিষয়টি হাইকোর্টে উত্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সে অনুযায়ী শুরু হয়েছে শুনানি।
Channel S (Sunshine Television Ltd.) 333 Segunbagicha, Ramna, Dhaka 1000, Bangladesh.
মন্তব্য করুনঃ