• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বিকাল ০৫:২৫:৩০ (29-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:

স্বস্তি নেই বাজারে, বেড়েছে বেশির ভাগ পণ্যের দাম


শুক্রবার ১৮ই নভেম্বর ২০২২ বিকাল ০৩:৪০



স্বস্তি নেই বাজারে, বেড়েছে  বেশির ভাগ পণ্যের দাম

ছবি সংগৃহীত

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাগেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল প্যাকেটজাত আটা-ময়দা, খোলা চিনি, পোলাওর চাল ও ছোলার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির।

বাজারে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা। এছাড়া চালের ধরন বুজে বেড়েছে চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং ভালো মানের চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকার ওপরে। আর পোলাওর চাল প্যাকেটে বেড়েছে ৩০ টাকা।

প্যাকেট আটায় ৪ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দায় দাম ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায়, খোলা আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে বেড়েছে ১২ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায় আর খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ১৭২ যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ১৫৮ টাকায়।

এদিকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ নির্ধারণ করেছে সরকার। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দামে।

মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারের খুচরা বিক্রেতা আলামিন বলেন, কোম্পানি বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সাপ্লাই দিচ্ছে না, তাই প্যাকেটজাত চিনির সংকটের কারনেই খোলা চিনির দাম বেশি।

এছাড়া দেশী ক্যাঙ্গারো চিকন ডালের দাম প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে ,বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, ভারতীয় মোটা ডাল কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ছোলার কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেছে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা আগে বিক্রি হতো ১৪০ টাকায় এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন। বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া, সোনালি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

প্রশিকায় কর্মরত সালেক চৌধুরী বলেন, আমাদের মতো অসংখ্য মধ্যম আয়ের মানুষ বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা যে কীভাবে খেয়ে পরে বেঁচে আছেন- তারাই ভালো জানেন।

তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে মৃত্যু ছাড়া কোন পথ নেই বলে জানালে তিনি। প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম কি করে বাচঁবো বলতে পারেন ?

সরিষার তেল কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় কারণ নতুন পেঁয়াজ উঠেছে বলে। কাপড় কাচা হুইল পাউডার কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। বর্তমানে এক কেজির দাম ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রিন পাউডার কেজিতে বাড়ছে ৮০ টাকা বর্তমানে  বিক্রি ২২০ টাকা, ঘড়ি কেজিতে ৩৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। হুইল সাবান প্রতি পিছ বাড়ছে ৫ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা,  লাক্স সাবান ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা লাইফবয় ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

পাঁচ লিটার তেল ৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দুই লিটার ৩৫৬ টাকায়। প্যাকেটজাত দুধ বিক্রি হচ্ছে পূর্বের দামেই। তবে দু’চারের মধ্যে বারার সম্ভব না রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। বাজারে রুপ চাঁদা তেল উধাও বলে জানিয়েছেন আদাবর বাজারের খুচরা বিক্রেতা জানান সাপ্লাই নেই। ফরচুন তেল পাঁচ লিটার ১.১৩০ টাকা। তীর ও পুষ্টি তেল ৫ লিটার ৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

অন্যদিকে বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সিম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল, করলা, বেগুন, লতির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা। শাকের মোটার দাম কমেছে ২ টাকা থেকে ৫ টাকা। এক আটি লাল শাক ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, কলমিশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা আটি, পুইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা আটি হিসাবে।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ