• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১২ই আশ্বিন ১৪৩০ রাত ১১:৫৪:০৫ (27-Sep-2023)
  • - ৩৩° সে:

০৮:৪১ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩


ক্যাটাগরি

বাংলাদেশ
বাণিজ্য

ধর্মঘট চলতে থাকলে তেল সংকট দেখা দেবে: নাজমুল হক


রবিবার ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ০৮:৪১



ধর্মঘট চলতে থাকলে তেল সংকট দেখা দেবে: নাজমুল হক

No Caption

চ্যানেল এস ডেস্কঃ
তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট চলতে থাকলে দেশে তেল সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নাজমুল হক জানান,
‘‘সব পেট্রোল পাম্প খোলা আছে, কিন্তু তেলের ডিপো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে দেশে তেলের সংকট দেখা দেবে।’’

পেট্রোল পাম্পের গাড়ি ডিপোতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তেল নিতে না পারলে, এমনিতেই পাম্প বন্ধ করে দিতে হবে। যারা ধর্মঘট ডেকেছে তাদের দাবি যৌক্তিক। তবে সরকারকে সময় না দিয়ে ধর্মঘট ডেকে মানুষকে বিপদে ফেলা অযৌক্তিক।’

তিনি বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিশনের দাবি ও লাইসেন্সের ঝামেলা মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি মন্ত্রী। তাই মন্ত্রণালয়কে সময় দেয়া উচিত।

নাজমুল হক জানান,
‘‘যারা ধর্মঘট ডেকেছেন তারা আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের কেউ না। তারা আগে ছিলেন। এখন কেউ নেই। যারা আগে ছিলেন তাদের একজন তেল পাচারের অভিযোগে সংঘটন থেকে বহিস্কার হয়েছেন। বর্তমান পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মিজানুর রহমানকে ২০১৬ সালে অর্থ কেলেঙ্কারির জন্য বহিষ্কার করা হয়।’’

যারা বর্তমানে ধর্মঘট ডেকেছে তারা জনগনকে জিম্মি করতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই নিয়ে তারা ২৩ বার ধর্মঘট ডেকেছে। মূলত জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বিপিসিকে চাপে ফেলে সুবিধা আদায় করতে চায় তারা। এদের পেট্রোল পাম্প ছাড়া আরও অনেক ব্যবসা আছে। এসব ব্যবসায় সুবিধা আদায়ের জন্য তারা ধর্মঘট ডেকেছে।’

তবে বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ধর্মঘট নেই জানিয়ে নাজমুল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে সরকার দলের কিছু লোকের প্রশ্রয়ে ডিপো আটকে তেল সরবরাহে বাধা দেয়া হচ্ছে।’
 
এ ছাড়া কোথাও যাতে ধর্মঘট না হয়, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান নাজমুল হক। তিনি বলেন, ‘যারা সংগঠনের কেউ না অথচ বিপিসি তাদের নিয়ে বসে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে।’

এদিকে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন সময় সংবাদকে জানান, আমাদের দাবি তিনটি। এগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা।

তবে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে থাকা একাংশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। আর পেট্রোল পাম্পের মালিকদের অন্য একটি অংশ ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছে। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখতে এ হরতাল ডাকে তারা। বিপিসির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এই ধর্মঘট চলছে।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ