পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট হলেন আক্তার হোসাইন। সবাইকে নিয়ে ভালোই চলছিল তাঁদের পরিবার। কিন্তু ২০০৬ সালে তাঁর বাবা সিদ্দিকুর রহমান মারা গেলে পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। তাঁর বাবা পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। একমাত্র বাবার আয়েই সংসার চলতো। বাবার অবর্তমানে পরিবারের হাল ধরেন মা রসুমা বেগম। আক্তার হোসাইন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের ছেলে।
ছোট থেকেই আক্তার হোসাইন ছিলেন মেধাবী। পরিবারে অভাব ও নানা সমস্যা থাকার পরও অদম্য ইচ্ছা শক্তির বলে ২০১৩ সালে বড়কুল রামকানাই উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তাঁর এই সাফল্যের খবর প্রথম আলোয় ছাপা হয় এবং ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। সেই বৃত্তি সহায়তা নিয়ে হাজীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পাস করেন আক্তার। বর্তমান তিনি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুজাফরগঞ্জে প্রত্যাশী নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।
আক্তার হোসেনের এই পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। আর্থিক অসচ্ছলতা কারণে সাফল্যের পথে নেমে এসেছিল অন্ধকার। পড়াশোনা তার প্রায় থেমেই গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে আক্তার হোসাইন বলেন, ‘বিপদের সময় ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে আলোর পথ দেখায়। যার ফলে ডিপ্লোমা পর্যায়ে পড়াশোনা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করতে পেরেছি।’
তিনি আরও জানান, সব সময় তিনি প্রথম আলোর কাছে চির কৃতজ্ঞ। তাঁর অদম্য পরিশ্রম ও শিক্ষাবৃত্তি দুইয়ে মিলেই আজ তিনি সাফল্যের মুখ দেখেছেন। এখন নিজের এবং পরিবারের অনেক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম তিনি।
মন্তব্য করুনঃ