নেই সরকারি হাসপাতাল, নেই কমিউনিটি ক্লিনিক। বিশুদ্ধ পানি পান করার জন্য নেই টিউবওয়েল, নেই বিদ্যুৎ নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের চিত্র এটি। সদর উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি এই জনপদের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। আর এই ইউনিয়নে বসবাস প্রায় ১০ হাজার মানুষের। বাঙালি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি এখানে বাস করে ম্রো, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা, মুরংসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠী। পাহাড়ি এই জনপদে যাতায়াতের একমাত্র বাহন মোটরসাইকেল। আর কালেভদ্রে পাওয়া যায় গাড়ি।
যেহেতু পানি পানের জন্য নেই টিউবওয়ে, সেহেতু নির্ভর করতে হয় নদীর পানির ওপর। ফলে এই জনপদের মানুষ প্রায়ই ডায়রিয়াসহ পেটের বিভিন্ন অসুখে ভুগে থাকেন। সঙ্গে ভুগতে হয় চর্মরোগের। কুরুকপাতা ইউনিয়নের কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে হাতের কাছে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। ফলে অনেককেই শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগতে হয়।
কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, যদি কেউ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাদের করার কিছুই থাকে না। কারণ সদর হাসপাতাল ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ি রাস্তা ধরে সেখানে যেতে সময় লাগে ঘণ্টখানেক। আবার সবসময় পাওয়া যায় না যানবাহন। ফলে তারা বেশিরভাগ সময়ই বাঁচা বা মরার বিষয়টি সৃষ্টিকর্তার ওপর ছেড়ে দেন। তাই এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে এসেছে বেসরকারি সংগঠন হিউম্যান সেফটি ফাউন্ডেশন (এইচএসএফ)
এইচএসএফের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরুবা ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, তারা কুরুকপাতা ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এইচএসএফ চেয়ারম্যান এম এ মুকিত জানান, প্রাথমিকভাবে কুরুকপাতায় মাসে দুদিন ক্যাম্প পরিচালিত হবে। আগামীতে এই ক্যাম্পের কার্যক্রম আরও প্রসারিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুনঃ