• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১১ই বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৮:৩৪:২৬ (24-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

বিদ্যুৎ বাঁচাতে ইউক্রেনীয়দের দেশ ছাড়ার পরামর্শ বিদ্যুৎ কোম্পানির


রবিবার ২০শে নভেম্বর ২০২২ দুপুর ১২:০৯



বিদ্যুৎ বাঁচাতে ইউক্রেনীয়দের দেশ ছাড়ার পরামর্শ বিদ্যুৎ কোম্পানির

ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের অর্ধেকের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনীয়দের দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রধান। খবর বিবিসির।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি ডিটিইকের প্রধান নির্বাহী ম্যাক্সিম তিমশেঙ্কো বলেন, ‘যদি তারা (জনগণ) আগামী তিন থেকে চার মাস ইউক্রেনের বাইরে অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন, তবে সেটা দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য খুবই সহায়ক হবে।’

তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রতিটি হামলার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়াই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখার প্রধান উপায়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এখনও বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম নয়।

ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন সব যন্ত্রাংশ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

যুদ্ধজয়ে ভূমিকা রাখতে জনগণকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে তিমশেঙ্কো বলেন, ‘যদি আপনি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তবে হাসপাতালগুলোতে আহত সেনাদের চিকিৎসায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকা নিশ্চিত হবে। বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করা যায় যে, সাশ্রয়ী হয়ে বা দেশত্যাগ করে তারা অন্যদের সহায়তা করতে পারে।’

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎকেন্দ্র নষ্ট হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল এ কথা জানিয়েছেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্র নষ্ট হওয়ায় দেশটির বেশির ভাগ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় সামনে পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।

কিয়েভের একজন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, শহরটি ‘সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এর আগে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, দেশটির এক কোটিরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। অব্যাহত রুশ বোমাবর্ষণের মধ্যে দেশটির কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমহাল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বেসামরিক এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জ্বালানি ব্যবস্থার প্রায় অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে।’

কিয়েভের ডেপুটি মেয়র মাইকোলা পোভোরোজনিক বলেন, শহর পুরোপুরি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্নসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে কী ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।

ইউক্রেনের যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো মেরামত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে জানিয়ে তিমশেঙ্কো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের হাতে মেরামত করার মতো যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নেই। যে কারণে আমরা আমাদের অংশীদার, সরকারি কর্মকর্তা, কোম্পানি ও যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীদের কাছে দ্রুত আমাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে সাহায্য করার আবেদন করেছি।’

সবশেষ ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন নগরী থেকে মস্কো বাহিনী চলে যাওয়ায় সেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করার পর ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে রাশিয়ার হামলার শিকার হয়।

মন্তব্য করুনঃ