চ্যানেল এস ডেস্ক :
সারাদেশে সড়ক পথে ঈদযাত্রা সহনীয় করা একটা চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরামর্শক সেবা সংক্রান্ত চুক্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় শৃঙ্খলার সংকট হলেই যানজট হবে, তাই সবাইকে সচেতন থাকতে ও সতর্ক থাকতে হবে। শৃঙ্খলার সংকট এটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। নির্ধারিত সময়ের আগে আমাদের অনেক কাজ শেষ হয়েছে। কাঁচপুর সেকেন্ড ব্রিজ, মেঘনা, গোমতি নির্ধারিত সময়ের আগে হয়েছে। বাংলাদেশের এসব প্রকল্প থেকে ১১শ' কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সেনাবাহিনীর আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগে হয়েছে। ঈদযাত্রা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ, এটা হয়ে যায় রাস্তার জন্য। সড়ক এখন সমতল থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে সারাদেশে। এত রোড নেটওয়ার্ক এখানে, এর আগে আমাদের দেশে কখনও এত বিস্তৃত হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক সড়ক হয়েছে, ব্রিজ হয়েছে, একদিনে একশ' সড়কও আমরা উদ্বোধন করেছি। সড়কের কোনো সংকট নেই, তাই যানজটেরও কারণ হবে না। তবে যানজটের কারণ হবে ডিসিপ্লিন মানে শৃঙ্খলার। শৃঙ্খলার সংকট হলেই যানজট হবে। একটু জটলা দেখলে রং সাইডে যাবো, তাহলে তো যানজট হবেই। এ ধরনের অবস্থা হয় ঈদের সময় বেশি। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
অনেক সময় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো হচ্ছে, চলতে চলতে গাড়ি সড়কে থেমে গেছে। সেটা সারাতে ১৫ মিনিট লাগলে কত বড় যানজট হবে, সেটা তো বোঝাই যায়। আমি নিজে প্রত্যক্ষদর্শী। আমি বার বার ভিজিট করেছি। আমি মানুষের কষ্ট দেখেছি। রাত দুইটার সময়েও সড়কে দুর্ভোগ আমরা দেখেছি। অন্যান্যবার আমাদের একটা সমস্যা ছিল গাজীপুরে। এবার গাজীপুর একেবারেই যে দুর্ভোগশূন্য হবে মনে করি না, তবে সেখানে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে, বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের সড়কগুলোর নির্মাণকাজ প্রসঙ্গে আমি সচিব সাহেবকে বলেছি রাস্তার কাজের জন্য বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকাতে দুর্ভোগ হবে। তাই ঈদের আগে পরে সেখানে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। তবে ঈদযাত্রা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটা সবাই মিলে যৌথভাবে সমাধান করতে পারব।
মন্তব্য করুনঃ