চ্যানেল এস ডেস্ক :
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বেনাপোল-পেট্রাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। তিনি উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পাশাপাশি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য সহজীকরণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবেশদ্বার। দুই দেশের স্থল বাণিজ্যের ৭০ শতাংশেরও বেশি এই স্থলবন্দর দিয়ে হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এই সীমান্তটি ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে।
পাশাপাশি এই সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং উদ্বোধন করা হয়। যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান আন্তঃসীমান্ত চলাচলের চাহিদা পূরণের জন্য দ্বিতীয় একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংও নির্মাণাধীন। এছাড়াও ভারত সরকারের অনুদান সহায়তায় দ্বিতীয় একটি কার্গো টার্মিনাল গেট নির্মাণ হচ্ছে। এটি প্রতিদিনের আন্তঃসীমান্ত যানবাহনের যাতায়াত দ্বিগুণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চেকপোস্ট পরিদর্শনকালে ভারতের হাইকমিশনার বেনাপোল-পেট্রাপোল আইসিপির তাৎপর্য এবং পণ্য ও যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে এর সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং মানুষে-মানুষে বিনিময়ের প্রসারের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রণয় ভার্মা স্থলবন্দরসমূহের সংযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো শক্তিশালী করার বিষয়ে জোর দেন। একই সঙ্গে সীমান্ত হয়ে পণ্য ও মানুষের চলাচল ক্রমান্বয়ে সহজ করার জন্য উভয় পক্ষের অব্যাহত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ বিশ্বে ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। বিগত পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি গত তিন বছরে ধারাবাহিকভাবে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। বৈচিত্র্যময় বাজার নিয়ে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, ভারতের বিশেষ করে কলকাতার সাথে যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পদ্মা সেতুর সাথে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা প্রশস্ত হওয়া জরুরি। এ সময় সাংবাদিকরা পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বিএসএফ এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ দ্বারা যাত্রী হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করলে তিনি দ্রুত সমস্যা সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
মন্তব্য করুনঃ