চ্যানেল এস ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘বিএনপি টপ টু বটম সবাই দুর্নীতিবাজ। এখন দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে। দুর্নীতির বরপুত্র দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে ভালো মানুষ সাজাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বিবৃতি দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল তার হুমকিতে অনেক কিছুই করেন। তারেক রহমান যতদিন বিএনপির নেতৃত্বে থাকবেন, ততদিন বিএনপি স্বাধীন সত্তা নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটাতে পারবেন, সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।’
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে এখনই অপরাধী না বলতে অনুরোধ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা, এটা কে বের করেছে? পুলিশ। পুলিশ কোন সরকারের; এটা কি বিএনপি আমলের পুলিশ? না শেখ হাসিনার আমলের পুলিশ? ডিবি ব্যাপারটা উদ্ঘাটন করেছে। মামলা হওয়ার আগে এবং মামলার শাস্তি হওয়ার আগে নিয়ম অনুযায়ী কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। ঐ সৎ সাহস আওয়ামী লীগের আছে। জেলার জেনারেল সেক্রেটারি রিমান্ডে, এ রকম উদাহরণ তো বিএনপির আমলে, এরশাদের আমলে নেই। ছিল না।’
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা হঠাৎ করে এক কলমের খোঁচায় বাদ দিয়েছে। কারণ কী? কারণ হলো যে, ঐ ৭ ধারায় আছে—দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বিএনপির কেউ নেতা হতে পারবে না। ঐ ৭ ধারায় আছে যে, দুর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তি বিএনপির নেতা হতে পারবে না। ফখরুল তাকে (তারেক রহমান) ভালো মানুষ সাজাচ্ছেন, তাহলে ধারাগুলো বাদ দিলেন কেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আমলে কত সন্ত্রাসী ছিল? দুর্নীতিবাজ বেনজীরের জায়গায় কোহিনূর, আশফারুল হুদা—এসব লোককে আইজিপি বানানো হয়েছিল। এদের দুর্নীতির গল্প শুনলে শিউরে উঠতে হয়। বিচার কি হয়েছে? বিএনপির নেতারা জনে জনে দুর্নীতি করেছিল, লুটপাট করেছিল। তার বিচার কি হয়েছিল? বিএনপি কি তাদের কোনো নেতার বিচার করার সৎ সাহস দেখাতে পেরেছে, যেটা শেখ হাসিনা করে দেখিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদ যাত্রায় সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট নেই। পশুবাহী গাড়ি ও পশুর হাট যত্রতত্র বসিয়ে যেন জনদুর্ভোগ না বাড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ এড়ানো কঠিন। দায়িত্ব পালনে মনোযোগ দিতে হবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি না ঘটে, সেজন্য মনিটরিং বাড়াতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুনঃ