• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৩২:২৪ (19-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

অভাবের তাড়নায় ‘বিড়ি’ বাধা সুরেন্দ্রন টেক্সাসের বিচারক হয়ে গড়লেন অনন্য নজির


সোমবার ১৬ই জানুয়ারী ২০২৩ বিকাল ০৩:৩১



অভাবের তাড়নায় ‘বিড়ি’ বাধা সুরেন্দ্রন টেক্সাসের বিচারক হয়ে গড়লেন অনন্য নজির

টেক্সাস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সুরেন্দ্রন প্যাটেল।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

অভাবের তাড়নায় একসময় তাকে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বোনের সাথে মিলে বিড়ি বেঁধেই উপার্জন করতে হত সুরেন্দ্রন প্যাটেলকে। এত সমস্যার মধ্যেও ছিল পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছা। সে ইচ্ছাশক্তির জোরেই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের জেলা আদালতের বিচারপতির আসনে বসলেন কেরালায় জন্ম নেয়া সুরেন্দ্রন প্যাটেল (৫১)। সম্প্রতি টেক্সাসের জেলা আদালতের বিচারক হিসাবে শপথ নিয়েছেন সুরেন্দ্রন। খবর বিবিসির।

পাঁচ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও সুরেন্দ্রনের জন্ম দক্ষিণ ভারতের কেরালার কাসারাগড়ে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর অভাবের তাড়নায় স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি।

সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সুরেন্দ্রন বলেন, পড়াশোনার খরচ চালানোর সামর্থ্য ছিল না আমার পরিবারের। তাই বাধ্য হয়েই বিড়ি বানাতাম। এক বছর এ কাজ করার পরে আমার জীবন দর্শন পাল্টে যায়। এক বছর পরে আবারও পড়াশোনা শুরু করি।

সুরেন্দ্রন জানান, কলেজে পড়ার সময় হোটেলে কাজ করে উপার্জন করতেন, যেতে পারতেন না কলেজে। কাজের কারণে বন্ধুদের সাহায্য নিয়েই সে সময় পড়তে হতো তাকে। তাই পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়া হয়নি তাকে। কিন্তু অধ্যাপকদের চ্যালেঞ্জ করে সুরেন্দ্রন বলেন, পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে কলেজ ছেড়ে দেবেন তিনি। সেই পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, ক্লাসে আসতে না পেরেও পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন সুরেন্দ্রন।

আইন পড়া শেষ হলে কেরালার হোসদুর্গ আদালতে আইনজীবী হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করেন সুরেন্দ্রন। ২০০৭ সালে স্ত্রীর পেশার সূত্রে সপরিবারে পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। সেখানে আবারও নতুন করে আইনের ডিগ্রি নিতে হয় সুরেন্দ্রনকে। ২০১১ সালে আমেরিকায় প্র্যাকটিস শুরু করেন সুরেন্দ্রন। পরে, শুরু করেন নিজের আইনি সংস্থা।

সম্প্রতি, টেক্সাসের জেলা আদালতের বিচারক হিসাবে শপথ নিয়েছেন সুরেন্দ্রন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সুরেন্দ্রন বলেন, আমার বাচনভঙ্গি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দলের নেতারাও ভাবতে পারেননি যে আমি এ পদের যোগ্য। কিন্তু আজ এ জায়গায় এসে পৌঁছেছি। সকলের জন্য একটাই কথা বলার আছে। নিজের ভবিষ্যতের ভার অন্যদের হাতে ছেড়ে দিও না, নিজেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ো।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ