জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজির উঠা অভিযোগ যাচাই-বাছাইসহ তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন দুদক সচিব মাহবুবুর রহমান। দেশসেরা এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টির পাশাপাশি জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি, বাবার নাম পরিবর্তন, শেয়ারবাজার কারসাজির মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি।
সম্প্রতি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক অনুসন্ধানে শেয়ারে ব্যাপক কারসাজির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এতে অন্যদের সঙ্গে নাম উঠে আসে মোনার্ক হোল্ডিংস নামের একটি ব্রোকারেজ হাউজের, যার চেয়ারম্যান বিশ^ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
মোনার্ক হোল্ডিংস এর নিবন্ধনে নিজের বাবার নাম মাসরুর রেজার পরিবর্তে কাজী আব্দুল লতিফ উল্লেখ করেন সাকিব। যদিও সাকিব ২০১৮ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে। বিকেলে গণমাধ্যমের সামনে দুদক সচিব বলেন সকিবের সাথে দুদকের চুক্তি ছিল বিনা পারিশ্রমিকে, তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো নিয়ে কমিশনে আলোচনা সহ পর্যবেক্ষণ চলছে।
গত মাসে অনলাইন জুয়ার প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবির তিরস্কারের শিকার হয়েছিলেন সাকিব। চুক্তি বাতিল না করলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন টাইগার অলরাউন্ডার- বিসিবির এমন অনড় অবস্থায় শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব। যা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে এখনো চরছে সমালোচনা।
মন্তব্য করুনঃ