মো: মোকাররম হোসেন, খোকসা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার খোকসায় গো-খাদ্য হিসেবে ভারত থেকে আমদানি করা চিটাগুড়ের সঙ্গে চিনি ময়দা ডালডা, হাইড্রোজ, কাপড়ের রং মিশিয়ে ময়লা, স্যাতসেতে আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভোজাল গুড়। ভ্রাম্যমান আলালতের মাধ্যমে জেল জরিমানার পরও বন্ধ হচ্ছে না এমন অপকর্ম।
আর কদিন পরই শুরু হবে রমজান মাস। ইফতারে গুড়ের শরবত রোজদারদের অন্যতম চাহিদা। সারা বছরের তুলনায় রমজানে তাই গুড়ের চাহিদা থাকে বেশি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজারে ব্যপক চাহিদা থাকায় স্থানীয় মাতৃভান্ডারের নিত্য গোপাল ও দীলিপ ট্রেডার্স এর ষষ্ঠি কুমার বিশ্বাস খুলে বসেছেন ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার মালিকরা কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কারখানার কর্মীরা দাবি করেন এই গুড়ে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা: কামরুজ্জামান সোহেল জানালেন ভেজাল এ গুড়ে রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন অভিযান পরিচালনা করা হলেও তারা চলে যাওয়ার পর পরই ফের শুরু হয় ভেজাল গুড় তৈরির কাজ। তবে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভেজাল গুড়কে আকর্ষণিয় করতে ব্যবহার হয় কাপড়ের রং। আর এই কাপড়ের রংয়ে থাকে রোডামাইন-বি নামের এমন এক রাসায়নিক যা ক্যান্সার সৃস্টিকারি। অতি সম্প্রতি কাপড়ের রঙ ব্যবহার হওয়ায় ভারতের কয়েকটি রাজ্যে হাওয়াই মিঠাই নিষিদ্ধ করা হয়। তাই এসব ভেজাল বন্ধ না হলে আগামীতে মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আসঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা
মন্তব্য করুনঃ