• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৬শে ভাদ্র ১৪৩১ রাত ০৩:১৭:০১ (11-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নফাঁস: ৬ চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ৭


বুধবার ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৩৭



মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নফাঁস: ৬ চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ৭

ছবি: সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্কঃ 

মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৬ চিকিৎসক ও এক শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাকসুদা আক্তার মালা (৫২), ডাঃ কে এম বশিরুল হক (৪৮), ডাঃ অনিমেষ কুমার কুন্ডু (৩৩),  জকিয়া ফারইভা ইভানা (৩৫), সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী (২৫), জাকারিয়া আশরাফ (২৬)  এবং মৈত্রী সাহা (২৭)। এরমধ্যে মাকসুদা আক্তার মালা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা আর বাকীরা চিকিৎসক। 

সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে, মাকসুদা ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ইকরাসহ অন্তত ৭ জন শিক্ষার্থীকে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। 

সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তার ডাঃ কে এম বশিরুল হক থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে জড়িত। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে বহু শিক্ষার্থীকে তিনি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে সহযোগীতা করেছেন। 

ডাঃ অনিমেষ কুমার কুন্ডু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ২০১৫ সালে ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্ন পড়িয়েছেন যার মধ্যে ৮ জন পরবর্তীতে বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি হয়।   

জাকিয়া ফারইভা ইভানা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি নিজেও ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে ২০০৬-০৭ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৬০ তম স্থান অর্জন করেন বলে অভিযোগ সিআইডির। 

সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী রংপুর মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি গ্রেপ্তার ডাঃ অনিমেষের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান বলে দাবি করেছে সিআইডি। 

জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা ২০১৫-১৬ সেশনের ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারাও ডাঃ অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিআইডি। 

গ্রেফতার ৭ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে ৮ টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

এরআগে, গত ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ চিকিৎসকসহ ১৭জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার টিম। এদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দীতে ডাঃ বশিরুল হকের নাম এসেছে। 

সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রশ্নফাঁসে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্য ও অসাধু উপায়ে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে। 

মন্তব্য করুনঃ


-->