• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:২৮:১৮ (25-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

রাশিয়ান সেনা চলে গেলেও শঙ্কা কাটেনি খেরসনবাসীর


রবিবার ১৩ই নভেম্বর ২০২২ সকাল ১১:৫৯



রাশিয়ান সেনা চলে গেলেও শঙ্কা কাটেনি খেরসনবাসীর

ছবি : সংগৃহীত

অধিকৃত খেরসন থেকে রাশিয়ার সেনা চলে যাওয়ার পর এখন শহরটি ইউক্রেন বাহিনীর দখলে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, খেরসনে উচ্ছ্বসিত জনতা শুক্রবার (১১ নভেম্বর) শহরে ইউক্রেনীয় সেনাদের স্বাগত জানিয়েছে। রাজধানী কিয়েভ এবং ওডেসাসহ ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলে একই খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসি জানায়, ইউক্রেন দখলে মস্কোর উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আঘাত করলেও দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউরি সাক বলেছেন, দ্রুত বিশ্রাম নেয়ার সময় আসেনি।

 তিনি আরও বলেছেন, আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম খেরসনকে দখল মুক্ত করব। এখন মনে করি রাশিয়ানরাও বিশ্বাস করে তারা এ যুদ্ধে কখনোই জিততে পারবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের শীর্ষ জেনারেলরা কী অস্থির অবস্থায় আছে। তাদের প্রোপাগান্ডা মেশিনের অস্থিরতাও আমরা দেখছি। হ্যাঁ এটা সত্যি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। তবে এ যুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না।

 এদিকে খেরসনের মেয়রের সহকারী জানিয়েছেন, শহরে পানি, ওষুধ এবং খাবারের অভাব রয়েছে। তবে নিকটবর্তী ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকা মাইকোলাইভ থেকে জরুরি সরবরাহ আসতে শুরু করেছে। রোমান গোলভনিয়া জানান, যুদ্ধে আগে খেরসনে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। এখন মাত্র ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ রয়েছেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, খেরসন থেকে পালানোর আগে, দখলদাররা সব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ, জ্বালানি সরবরাহ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করেছে। বিবিসি জানিয়েছে, শহরটিতে কখন বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে খেরসনের বেকারিগুলোতে রুটি তৈরির কারখানা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলেনস্কি আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী খেরসন এবং এর আশপাশে রাশিয়ান মাইন এবং বুবি-ট্র্যাপ খুঁজে বের করে ধ্বংস করার কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনীয় টিভি এ এলাকায় সম্প্রচার পুনরায় শুরু করেছে।

 এদিকে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান ওলেক্সান্ডার ড্যানলিউক সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা যারা খেরসন থেকে পশ্চাদপসারণ করেছে তারা ডিনিপ্রো নদী পেরিয়ে বাম দিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিবিসিকে তিনি জানান, এর ফলে তারা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।  মস্কো বলেছে, তারা প্রায় ৩০ হাজার সেনাকে খেরসন থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫ হাজারের বেশি সামরিক যন্ত্রাংশ এবং অস্ত্র গোলাবারুদ ও অন্যান্য সম্পদ সরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে।

 যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যরা খেরসন থেকে চলে যাওয়ার অংশ হিসাবে ডিনিপ্রো নদীর ওপর রাস্তা এবং রেলসেতু ধ্বংস করেছে। শুক্রবার আন্তোনিভস্কি সেতু আংশিকভাবে ধসে পড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া গেছে৷

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ