• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১১ই বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১০:২৪:৪১ (24-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

জার্মানিতে অভ্যুত্থানচেষ্টা; পার্লামেন্টে হামলার পরিকল্পনা ছিল বিদ্রোহীদের


শুক্রবার ৯ই ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর ১২:০৭



জার্মানিতে অভ্যুত্থানচেষ্টা; পার্লামেন্টে হামলার পরিকল্পনা ছিল বিদ্রোহীদের

ছবি : সংগৃহীত

জার্মানিতে ব্যর্থ হওয়া অভ্যুত্থান পরিকল্পনা যেনো সিনেমার গল্পকেও হার মানাচ্ছে। সরকার উৎখাতে নেতৃত্ব দেয়া রাইশব্যুর্গার নামের সংগঠনটির লক্ষ্য প্রজাতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রথা বাতিল করে দেড়শ বছর আগের জার্মান সাম্রাজ্য পুন:প্রতিষ্ঠা করা। উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীটির সদস্য তালিকায় রয়েছেন বিচারপতি, পার্লামেন্ট ও রাজপরিবারের সদস্যসহ জার্মানির হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিরাও।

বার্লিন থেকে প্রায় তিনশ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট শহর ব্যাডলবস্টেইনে অবস্থিত প্রিন্স ক্যাসেল। শত বছরের পুরনো ওই প্রাসাদেই হয়েছিলো অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা।

এ পরিকল্পনা জানার পর পুরো জার্মানির ১৩০টি স্থানে চালানো হয় তল্লাশী অভিযান। সরকার উৎখাতের এ ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের করা হচ্ছে গ্রেফতার। এখন পর্যন্ত আটককৃতদের অধিকাংশই জার্মানির এলিট সমাজের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। জার্মান রাজপরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে, বিচারপতি, ধনকুবের এমনকি সাবেক সেনা কর্মকর্তারাও আছেন গ্রেফতারের তালিকায়।

এ প্রসঙ্গে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেইজার বলেন, জার্মান গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা ধ্বংস করাই তাদের লক্ষ্য ছিলো। আরও বিস্তারিত তদন্ত হলেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব যে এ সংগঠনের সাথে আরও কারা কারা জড়িত আছে। তবে শুরুতেই যাদের নাম এসেছে তারাই যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে পড়েছে আমাদের জন্য।

এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২১ সাল থেকেই সরকার উৎখাতের এ পরিকল্পনা করছিলো জার্মান উগ্র ডানপন্হী সংগঠন ‘রাইখ সিনিজেন মুভমেন্ট’ বা রাইশব্যুর্গার। গেল এপ্রিলে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লটারবাখকে অপহরণের পরিকল্পনা করে সংগঠনটি। তাদের লক্ষ্য ছিলো, দাঙ্গা-সহিংসতার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাওয়া। রাইশবুর্গারের সদস্যরা প্রজাতন্ত্র কিংবা গণতন্ত্র নয় বরং নিজেদের জার্মান সাম্রাজ্যের নাগরিক বলে দাবি করে।

তাদের দাবি, ১৮৭১ সালের জার্মান সাম্রাজ্যের সীমানাই আসল জার্মানি। এ গোষ্ঠীটি বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ও বর্ণবাদী প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে থাকে।

আটককৃতদের সম্পর্কে জার্মান চিফ প্রসিকিউটর পিটার ফ্র্যাংক বলেন, জিজ্ঞাবাসবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন যে- সহিংসতার মাধ্যমে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা ছিলো তাদের। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো- পার্লামেন্টে হামলা চালিয়ে তা দখল করা।

এদিকে, প্রাথমিকভাবে উগ্র ডানপন্হী গোষ্ঠীটির প্রায় ৫০ সদস্যের তালিকা পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যাদের মধ্যে কয়েকজন ইতালীয় নাগরিক। তাদের খোঁজেও অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুনঃ