• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৩রা বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:৩৯:২৩ (16-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

তরুণদের মেধা-পরিশ্রমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: জয়


শনিবার ১২ই নভেম্বর ২০২২ বিকাল ০৫:০৩



তরুণদের মেধা-পরিশ্রমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: জয়

ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তরুণদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেদের সমস্যা আমরা নিজেরাই সমাধান করব। এমন আত্মবিশ্বাস ও দেশপ্রেম থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জয় বলেন, করোনা ও যুদ্ধসহ নানা কারণে সারাবিশ্বই অর্থনৈতিকসহ নানা সংকটে আছে। অনেকে ভয়ে থাকলেও তরুণরাই সমস্যা সমাধানের উদাহরণ সৃষ্টি করবে। তরুণদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেদের সমস্যা আমরা নিজেরাই সমাধান করব।

ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হয় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’।  সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৮ বছরে ৬ বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেয়া হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।

এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের সংগঠন যারা নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সাড়া দিয়েছে, তারা ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন।

সিআরআই সূত্রে জানা গেছে, এবার সেবামূলক কাজে যুক্ত থাকা ৬০০টিরও বেশি সংগঠন আবেদন করে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই শেষে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয় ৫টি ক্যাটাগরির প্রতিটিতে দুটি করে ১০টি সংগঠনকে। এ ছাড়াও দেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় তিনজনকে দেয়া হয় 'লাইফটাইম' জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।

সজীব ওয়াজেদ জয় দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা। তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, পলিসি ক্যাফেসহ তরুণদের কাছে জনপ্রিয় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে ইয়াং বাংলা। লক্ষাধিক তরুণকে নিয়ে তৈরি ইয়াং বাংলার নেটওয়ার্ক। ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৫০০টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াং বাংলার পথচলা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টাই করছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে যেই স্বপ্নের সূচনা করেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পেছনে বড় অবদান রাখেন।

আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলে তা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দেয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। তার দূরদৃষ্টির কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোভিড সময় মোকাবিলা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ অনলাইন স্কুলিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন পর্যন্ত জীবনের সব ক্ষেত্রে জেন নেক্সট ইনফো টেক-এ প্রতিনিধিত্ব করছেন।

আওয়ামী লীগের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন হিসেবে জয় পরবর্তী প্রজন্মকে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম করে তুলতে চান। আর এভাবেই দেশ গঠনে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে দেশের তরুণরা ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তরুণদের মধ্যে তার জনপ্রিয় অনুপ্রেরণা দেয়া বক্তব্য, 'আমরাই পারি, আমরাই পারব'- বর্তমানে এক চেতনায় পরিণত হয়েছে।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগে অনুপ্রেরণা দেয়া হচ্ছে, যা নীরবে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৈপ্লবিক কাজ করছে। সেটি ঢাকার পথশিশুদের শিক্ষিত করা থেকে শুরু করে সিলেটের দরিদ্র ও দুর্বল চা শ্রমিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করা বা নারী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডারদের সক্ষম ও ক্ষমতায়ন করা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সংগঠনগুলোর কার্যক্রম জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরে আসে যার স্বীকৃতি স্বরূপ পরবর্তীতে অনেক তরুণদের সংগঠন অর্জন করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অস্থিরতার মধ্যে জন্ম নেয়া জয়ের শৈশব কেটেছে আনন্দহীন। শৈশবে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতে 'মিডনাইট ম্যাসাকার'-এর সঙ্গে তাকে মানিয়ে নিতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন। শুধু শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান। 'হাসিনা: এ ডটারস টেল' ডকুড্রামার মাধ্যমে সেই নৃশংস রাতের বর্ণনার পাশাপাশি সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘুরে দাঁড়াবার কথাও উঠে এসেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ এশিয়ান অর্থনীতির 'টাইগার' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ