• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২২শে আশ্বিন ১৪৩২ রাত ০৯:১৮:৫১ (07-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:

বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে বৈঠকে যে আলোচনা হলো


মঙ্গলবার ৭ই অক্টোবর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫



বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে বৈঠকে যে আলোচনা হলো

No Caption

বাংলাদেশ ও তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের চতুর্থ পলিটিক্যাল কনসালটেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম ও তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস একিনজি নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে। উভয়পক্ষই সংহতি, পারস্পরিক আস্থা এবং শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে তাদের অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বৈঠক শেষে দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়। 
এতে বলা হয়, তুরস্ক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করা, আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসনের প্রসারে সংস্কারমূলক উদ্যোগের জন্য গভীর প্রশংসা করেছে। তুরস্ক বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

উভয়পক্ষই ব্যবসা-বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনা, যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং যৌথ উদ্যোগের প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তুরস্কের আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আলোকে বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েশন কালের সময় ও তার বাইরেও অন্তর্বর্তীকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তুরস্কের সহায়তা চেয়েছে।

উভয়পক্ষই বর্তমান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার পর্যালোচনা করেছে এবং প্রতিরক্ষা শিল্প, সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া উভয়পক্ষই সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

বৈঠকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তুরস্কের উন্নত দক্ষতাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিশীল জ্বালানি সমাধানের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য শক্তি ক্ষেত্রে অংশীদারত্বের সম্ভাবনার কথা উভয়পক্ষই স্বীকার করেছে। পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। 

মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে গবেষণা ও উদ্ভাবন, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়েও তারা মতবিনিময় করেছেন।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ





















-->