চ্যানেল এস ডেস্ক:
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ প্লাটোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ জনে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর চালানো ক্রমিক হামলায় এই প্রাণহানি ঘটে।
প্লাটোতে প্রায়ই পশুপালক ও কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় মুশু গ্রামে। এ বিষয়ে নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর মন্তব্য চাওয়া হলে তাত্ক্ষণিকভাবে তারা সাড়া দেয়নি। নাইজেরিয়ার ‘মধ্য বলয়’ নামে পরিচিত অঞ্চলটির অন্যতম রাজ্য প্লাতিয়াউ। অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকটি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। তারা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী। এখানে গত কয়েক বছর ধরে চলা জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে কয়েক শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে এখানে কৃষকদের সঙ্গে পশুপালকদের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল। এই সংঘর্ষের ঘটনাগুলোকে অনেক সময়ই মুসলিম পশুপালক ও প্রধানত খ্রিষ্টান কৃষদের মধ্যে সংঘটিত জাতি-ধর্মীয় সংঘাত বলে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষির সম্প্রসারণ এসব সংঘাতের অন্যতম মূল কারণ।
প্লাতিয়াউ রাজ্যের বোকোসের স্থানীয় সরকারের প্রধান মানডে কাসাহ গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতা গতকাল ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ ঘটনায় ১১৩ জনের মতো ব্যক্তির নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মানডে কাসাহ বলেন, একাধিক সশস্ত্র গ্যাং, যারা স্থানীয়ভাবে ‘দস্যু’ নামে পরিচিত, তারা কম করে হলে ২০টি ভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর সুসমন্বিতভাবে হামলা করে। তারা লোকজনের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, হামলার ঘটনায় তাঁরা ৩০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পেয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের বোকোস, জোস ও বারকিন লাদির হাসপাতালগুলোয় স্থানান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুনঃ