• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:১৭:১২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

মরোক্কোতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ২৯৬


শনিবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১১:০৩



মরোক্কোতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ২৯৬

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকা। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরোক্কো শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছে। দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ১১ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ছয় দশমিক আট। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে দেশটিতে ২৯৬ জন নিহত হয়েছেন। খবর এএফপির। 

প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে ভূমিকম্পে দেশটির মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন তারা। বহু ভবনের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, মারাকেশ শহরের ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। এর গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার। 

মরোক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পে ২৯৬ নিহত ও ১৫৩ জন আহত হয়েছেন। আল-হাওজ, মারাকেশ, ওয়ারজাজাতে, আজিলাল, চিকআওয়া ও তারুদান্তে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। 

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি ভবনের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সরু গলির মধ্য দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ধ্বংসাবশেষ। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের সময় তাক থেকে ঘরের জিনিসপত্র পড়ে যাচ্ছে। 

মারাকেশ শহরের ৩৩ বছর বয়সী বাসিন্দা আব্দেলহাক এল আরমানি ফোনে এএফপিকে বলেন, ‘আমরা একটি শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেছি। ভবন নড়ছিল, তা আমি দেখতে পারছিলাম। এরকম পরিস্থিতিতে আগে কোনোদিন পড়িনি। এরপর আমি বাইরে চলে যাই। সেখানে অনেক লোক ছিল। সবাই আতঙ্কে ছিল। শিশুরা কাঁদছিল।’ 

আরমানি আরও বলেন, ‘১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল টেলিফোন লাইনেও। তবে, দ্রুতই সেগুলো চলে আসে। কিন্তু, আমরা ঘরে ফিরতে সাহস পাইনি। সবাই বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।’

এদিকে, ভূমিকম্পটি উৎপত্তিস্থল আল-হাওজ শহরে বেশ কয়েটি ভবন ভেঙে পড়েছে। সেখানে আটকা পড়েছে অনেকগুলো পরিবার। মারাকেশ শহরের হাসপাতালগুলো আহত মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের ফলে কম্পন অনুভূত হয় উপকূলীয় শহর রাবাত, কাসাব্যালন্স ও ইসাওরিয়া শহরে। মারাকেশ শহর থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে থাকা ইসাওরিয়া শহরের এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের এখানে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। স্থানীয়রা রাস্তায় অথবা খোলা আকাশের নিচে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ভূমিকম্পের প্রাথমিক প্রভাব সম্পর্কে জানানো সংস্থা ইউএসজিএসের সিস্টেম থেকে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উল্লেযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত হলেই এই অ্যালার্ট জারি করা হয়।

মরক্কোর স্থানীয় গণমাধ্যম এটিকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে জানিয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পটির কারণে কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ আলজেরিয়াতেও। তবে, এতে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে দেশটি।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ





















-->