বন্ধুরা, তোমাদের আজ একটি পাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। এই পাখিটির আছে উজ্জ্বল গোলাপি রঙের পালক এবং লম্বা দুটি পা। এর ঘাড় কেমন জান? ইংরেজি ‘এস’ অক্ষরের মতো। এই পাখিটি তার ঘাড়ের জন্য খুব বিখ্যাত, বলতে পারো বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
তোমরা কি পাখিটির নাম জান? না জানলে সমস্যা নেই, আমিই বলে দিচ্ছি। এই পাখির নাম ফ্লেমিংগো।
ফ্লেমিংগোর প্রিয় খাবার হলো- চিংড়ি, শামুক এবং উদ্ভিদ বা শৈবাল। এরা যখন খাবার খায় তখন মাথা পানির মধ্যে ডুবিয়ে দেয়। তারপর পানির মধ্যে মাথা উল্টে বেলচার মতো করে ফেলে এবং খপ করে মাছ ধরে। এরা পানিতে দৌড়াতে পারে এবং আকাশে অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে। এদের দ্রুত উড়তে ডানার সঙ্গে লম্বা পা দু’টি সহায়তা করে।
ফ্লেমিংগো এমনভাবে বাসা তৈরি করে, দেখলে মনে হবে কাদার স্তূপ। এরা টিলার শীর্ষে কিংবা গর্তে ডিম দেয়, মাত্র একটি ডিম দেয়। প্রায় ৩০ দিন পর ডিম ফুটে ছানা বের হয়।
বাচ্চা ফ্লেমিংগোর পালক সাদা ও নরম হয় এবং ডানা দুটি সোজা থাকে। কিন্তু, যখন এরা বড় হতে থাকে তখন ডানা দুটি নিচের দিকে বাঁক নেয়। বাবা-মা উভয়ই নবজাতক ফ্লেমিংগোর যত্ন নেয়। জন্মানোর ৫ দিন পর বাসা ছেড়ে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অন্যান্য ফ্লেমিংগোর সঙ্গে ঘুরতে যায় বাচ্চা ফ্লেমিংগো।
কিন্তু, ক্ষুধা লাগলে আবার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসে। মজার ব্যাপার হলো বাবা-মা কণ্ঠস্বর চিনে তাদের বাচ্চা শনাক্ত করতে পারে। প্রায় তিন সপ্তাহ পরে বাচ্চা ফ্লেমিংগো তরুণ হয়ে ওঠে। তখন তাদের বড় দলে ভাগ করে দেওয়া হয় এবং নিজেরাই খাবারের সন্ধান বের হয়।
বেশিরভাগ ফ্লেমিংগো প্রজাতি বিপন্ন নয়। তবে, আন্দিয়ান ফ্লেমিংগোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং চিলি, লেসার এবং পুনা ফ্লেমিংগো প্রায় হুমকির মুখে আছে। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ এবং দক্ষিণ এশিয়ার জলাভূমি অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়।
সাধারণ নাম: গ্রেটার ফ্লেমিংগো
বৈজ্ঞানিক নাম: ফিনিকপ্টেরাস রোজাস
প্রকার: পাখি
খাবার: সর্বভুক
গ্রুপের নাম: কলোনি
আকার: ৩৬ থেকে ৫০ ইঞ্চি; ডানা: ৬০ ইঞ্চি
ওজন: ৮.৭৫ পাউন্ড (সূত্র: কিডস জিওগ্রাফিক)
সূত্র: জিওগ্রাফি
মন্তব্য করুনঃ