ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চরম ডানপন্থী জাইর বলসোনারোকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। দক্ষিণ আমেরিকায় বহুল আলোচিত এ নির্বাচনে ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বিজয়ী হন তিনি। আর বলসোনারো পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। খবর বিবিসির।
ফলাফল ঘোষণার পর ব্রাজিলজুড়ে লুলার সমর্থকরা আনন্দে মেতে ওঠেন। সাও পাওলোতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ব্রাজিলের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন লুলা ডি সিলভা।
এর আগে ২ অক্টোবর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটে লুলা পান ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। বলসোনারো পান ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
নির্বাচনে বিজয়ের পর সিলভা দেশে শান্তি ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার এ বিজয়ের অর্থ হলো গণতন্ত্রের বিজয়। লুলা ডি সিলভা তার বক্তৃতায় আমাজনকে বাঁচিয়ে রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন। ৭৭ বছর বয়সী বামপন্থী এই নেতা বিজয়ী ভাষণে বলেন, “আমি আজ বিশ্বকে বলতে চাই, ব্রাজিল ফিরে এসেছে।”
জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন লুলা। পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে ব্রাজিলের ২১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন লুলা। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও নির্বাচনে জিতে তিনি রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুনঃ