আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এসব ঘটনা চলমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যে কোনও ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এ ধরনের বক্তব্য এটিই প্রথম। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, “ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এ লঙ্ঘনের প্রতিকার করেছে, যা আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে আশা করি। বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে আমরা ইসরাইল সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা সেই ইউনিটের সাথে সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে।”
অবশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ ঘটনায় কোনো জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে কি-না তা বলতে না পারলেও ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এসব ইউনিটে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা তথা রাজনৈতিক চাপে (কঠোর অবস্থান নেয়া থেকে) যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে গেছে বলে উঠা দাবিকে অস্বীকার করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ।
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “আমরা এখন একটি প্রক্রিয়ায় তাদের সাথে জড়িত আছি। যখন সেই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে তখন আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”
মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হলেও অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর কোনও ব্যবস্থা না নেয়া ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা আছে কি-না জানতে চাইলে প্যাটেল বলেন, ইসরাইলকে ‘বিশেষ সুবিধা’ বা নীতি নিয়ে ‘দ্বিচারিতা’ বলে কিছু নেই এবং তাদের এসব স্ট্যান্ডার্ড ‘সমস্ত দেশে সমানভাবে’ প্রয়োগ করা হয়।
মন্তব্য করুনঃ