• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:১৩:৪১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

১০:৪০ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩


ক্যাটাগরি

বাংলাদেশ
শিল্প ও সাহিত্য

কবি কামিনী রায়ের জন্মদিন আজ


বৃহঃস্পতিবার ১২ই অক্টোবর ২০২৩ সকাল ১০:৪০



কবি কামিনী রায়ের জন্মদিন আজ

ছবি: সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক: 

কবি কামিনী রায়ের ১৫৯ তম জন্মদিন আজ। ১৮৬৪ সালের এই দিনে তিনি বরিশালের ঝালকাঠিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা।

১৮৮৬ কলকাতা বেথুণ কলেজ থেকে কামিনী রায় সংস্কৃত ভাষায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি বেথুন কলেজেই শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সেসময় হিন্দু নারীদের লেখাপড়া করা ছিল নিন্দণীয় ও গর্হিত ব্যাপার।

কবি কামিনী রায় ৮ বছর বয়স থেকে কবিতা লিখতেন। ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘আলো ও ছায়া’; যার মাধ্যমে তিনি তৎকালীন পাঠক সমাজে ব্যাপক সমাদৃত হন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে নির্মাল্য (১৮৯১), মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩), দ্বীপ ও ধূপ (১৯২৯)।

শিশুদের জন্য লিখিত গ্রন্থসমূহ হচ্ছে, পৌরাণিকী (১৮৯৭), গুঞ্জন(১৯০৫), বালিকা শিক্ষার আর্দশ (১৯১৮)। ঠাকুরমার চিঠি (১৯২৪) প্রভৃতি।

অম্বা (১৯১৫) তার লেখা জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে অন্যতম। এবং চন্দ্রাতীরের জাগরণ নাট্যকাব্যটি বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এছাড়াও তার রয়েছে বেশকিছু অনুবাদ গ্রন্থ উল্লেখ্য ধর্ম্মপুত্র (১৯০৭)।

১৮৯৪ সালে কেদারনাথ রায়ের সাথে কামিণী রায়ের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারের জন্ম হয় ৩ সন্তানের। ১৯০০ সালে তাদের প্রথম সন্তানটি মারা যায়। ১৯০৩ সালে কামিনী রায়ের বোন প্রম কুসুম মারা যায়। ১৯০৬ সালে তার ভাই ও বাবা মারা যান। এরপর তার সন্তান লীলা ও অশোকের মৃত্যু হলে সবাইকে হারিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন।

সব হারানোর ব্যথা তার রচনায় এক অন্যন্য মাত্র পায়। সেসময়ে মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থাও এক বিরল ঘটনা ছিল, এবং কামিনী রায় হয়ে উঠেছিলেন নারীবাদে বিশ্বাসী। লিখেছেন সকল অসঙ্গতির বিরুদ্ধে ও নারী জাগরনের পক্ষে।

তিনি ১৯২৩ সালে এক সম্মেলনে বরিশাল এলে কবি বেগম সুফিয়া কামালের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাকে লেখালেখির বিষয়ে প্রবল উৎসাহ দেন এবং মনোনিবেশ করতে বলেন। তিনি ১৯২২-২৩ সালে নারীশ্রম তদন্ত কমিশনের সদস্য ছিলেন।

কবি কামিনী রায়ের স্মরণে ১৯২৭ সাল থেকে ‘জগত্তারিনী পুরস্কার’ প্রবর্তন করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

শেষ জীবনে তিনি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের হাজারীবাগ বসবাস করতেন এবং ১৯৩৩ সালের ২৭সে সেপ্টেম্বর সেখাইে তার জীবনাবসান ঘটে।
 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ











-->