নতুন মোড় নিলো আইএস বধূ হিসেবে পরিচিত শামিমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার মামলা। লন্ডনের আদালতে আবারও শুরু হয়েছে মামলার কার্যক্রম। তার দাবি, তিনি নিজেও শিশু পাচারের শিকার। সুতরাং তার নাগরিকত্ব বাতিল করা অযৌক্তিক। খবর স্কাই নিউজের।
সোমবার (২১ নভেম্বর) শামিমা বেগমের আইনজীবী দাবি করেন, মানব পাচার এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন শামিমা। যুক্তরাজ্যের বিশেষ অভিবাসন আপিল কমিশনে আইনজীবীরা এ যুক্তি তুলে ধরেন। তারা বলেন, শামিমা নিজেই মানব পাচারের শিকার। তাই তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ হতে পারে না।
২০১৯ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন। তবে আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, শামীমা পাচারের শিকার হওয়া শিশু ছিলেন কিনা সে বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি। ফলে তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তটি বেআইনি।
মূলত, যৌনদাসী হিসেবে শামিমাকে পাচার করে নিয়েছে আইএস এমন দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এরপক্ষে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তারা।
২০১৫ সালে লন্ডন থেকে আরো দুই কিশোরীর সাথে পালিয়ে সিরিয়া যান শামীমা বেগম। জঙ্গি সংগঠন আইএস এ যোগ দেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। পরে ২০১৯ সালে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে গর্ভবতী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপরই তর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ সরকার। বর্তমানে ২৩ বছরের শামীমা সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরেই রয়েছেন।
মন্তব্য করুনঃ