 
                                    
                                    
                                    ছবি সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাড়ি ভ্রমণের সময় সিটবেল্ট না বাঁধায় জরিমানা গুণতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে। দেশটির আইন অনুযায়ী তার ওপর জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ১০০ পাউন্ড, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ৮৭ টাকা।
যুক্তরাজ্যের ট্রাফিক আইনে চলন্ত সিটবেল্ট বাঁধার ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ বছরের বেশি বয়সী কোনো যাত্রী যদি সিটবেল্ট না বেঁধে গাড়ি ভ্রমণ করেন, সেক্ষেত্রে তার ওপর জরিমানা ধার্য করা হয় ১০০ পাউন্ড। ঘটনা যদি আদালত পর্যন্ত গড়ায়, সেক্ষেত্রে জরিমানা বেড়ে পৌঁছায় ৫০০ পাউন্ডে।
১৪ বছরের কম বয়সী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এটি ঘটলে গাড়ির চালককে এই জরিমানা দিতে হয়।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। জরিমানার অর্থও নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই পরিশোধ করবেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত সামাজিক যোগাযোগামধ্যমে পোস্ট হওয়া ঋষির একটি ভিডিওচিত্রকে ঘিরে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে সফর করছেন তিনি। সফরে ল্যাঙ্কাশায়ার জেলার সড়কে চলন্ত গাড়িতে বসা অবস্থায় একটি নিজের ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন সুনাক। সেখানে দেখা যায়, সিটবেল্ট না বেঁধে গাড়ির পেছনের আসনে বসে আছেন তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশ ঋষি সুনাকের নাম উল্লেখ না করে এক টুইটবার্তায় জানায়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে একজনকে সিটবেল্ট না পরেই ল্যাঙ্কাশায়ারের সড়কে কিছু সময় গাড়ি চালাতে দেখা গেছে। আমরা লন্ডনের ৪২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে আজ জরিমানা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে গত বৃহস্পতিবার গাড়িতে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারে যান ঋষি সুনাক। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও ধারণ করার সময় অল্প সময়ের জন্য নিজের সিটবেল্ট সরিয়েছিলেন তিনি।
 
                                    
মন্তব্য করুনঃ