চ্যানেল এস ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।
এর আগে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন তাকে হাসপাতালে নেয়ার কথা জানান।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করে আসছে। তিনি লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন বলে জানান তার চিকিৎসকরা।
গুলশান-২ এ নিজ বাসা থেকে আনুমানিক ৬ টার দিকে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন তিনি। এর আগে বিকেলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ নেতাকর্মীরা তাকে দেখতে সেখানে যান। বাড়িটির গেটের বাইরেও নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। আবার আজ তাকে নেয়া হলো।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। সবশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে সপ্তমবার বর্ধিত মুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি অষ্টমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়। মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শর্ত দুটি হলো: খালেদা জিয়া আগের মতোই ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
দুটি মামলায় সাজা হওয়ায় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকায় তিনি কারামুক্ত রয়েছেন।
মন্তব্য করুনঃ