আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে সংস্কারপন্থিসহ ছয় প্রার্থীর মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে আগামী শুক্রবার (২৮ জুন) ভোট দেবেন দেশটির জনগণ।
ইরানে ২০২৫ সালের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু গত মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অতিরক্ষণশীল ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন। খবর এএফপির।
তেহরানের মিত্র ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও চিরশত্রু ইসরায়েলের মধ্যে চলমান গাজা যুদ্ধের কারণে আঞ্চলিক টান টান উত্তেজনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই আগাম নির্বাচন। আন্তর্জাতিক অবরোধের কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ায় এক ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছে দেশটি।
গত এপ্রিলে ইরান তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিয়ে হামলা চালায় ইসরায়েলে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাত সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায় ইরানের ইস্পাহান শহরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে।
ইরানের স্বঘোষিত শত্রু ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে ইরানের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন পার্লান্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ, অতিরক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক কর্মসূচির মধ্যস্থতাকারী সাঈদ জলিলি ও সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পাজেশকিয়ান। এ ছাড়া রয়েছেন তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি, সমালোচক মোস্তফা পোরমোহাম্মদ ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেন গাজী জাদেহ-হাশেমি।
এই ছয়জন প্রার্থীই তাদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রার্থীরা টেলিভিশন বিতর্কেও অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তারা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দেন এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন, সে বিষয়ে আলাদা মতামত জানান।
এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের আলি ভায়েজ বলেন, আলোচিত বিষয় ছাড়াও নতুন প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে আস্থাহীনতার যে ফাটল তৈরি হয়েছে, সে বিষয়টিকেও মোকাবিলা করতে হবে।
মন্তব্য করুনঃ