আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থানকারী রুশ বাহিনীর প্রতিরক্ষাবলয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তা ওলেকসান্দর তারনাভস্কি এই দাবি করেছেন। তাঁর আশা, ইউক্রেনীয় বাহিনী এখন জাপোরিঝঝিয়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবে।
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান পরিচালনাকারী দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জেনারেল ওলেকসান্দর তারনাভস্কি। দক্ষিণাঞ্চলীয় রোবোতিন গ্রামটি পুনর্দখলের মধ্য দিয়ে কৌশলগত বিজয় লাভের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পর এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
কিয়েভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান শুরুর পর প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোতে পারছে না বলে অনেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা করছিলেন। এমন সময়ে রোবোতিন পুনর্দখলের ঘোষণা দিল ইউক্রেন।
জেনারেল তারনাভস্কি বলেন, ‘আমরা এখন তাদের (রুশ বাহিনী) প্রথম ও দ্বিতীয় প্রতিরক্ষারেখার মাঝামাঝি আছি। পাল্টা অভিযানের কেন্দ্রভাগে এসে আমরা এখন শত্রু দলগুলো ধ্বংস করার কাজ করছি।’
এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় স্থলমাইন পুঁতে রাখার কারণে ইউক্রেনীয় সেনাদের ধীরে ধীরে সামনে এগোতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তারনাভস্কি মনে করেন, একদিন না একদিন রাশিয়া তাদের সেরা সেনাদের হারাবে। আর তাতে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও দ্রুত অভিযান চালাতে পারবে ইউক্রেন।
তারনাভস্কির নেতৃত্বাধীন ইউক্রেনীয় সেনাদলটিই গত বছর দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহর দখলমুক্ত করেছিল।
তারনাভস্কি বলেন, জুনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান শুরুর পর যে সময়ের মধ্যে এলাকাগুলো দখলমুক্ত করা যাবে বলে তাঁরা আশা করেছিলেন, তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে। তাঁর ভাষ্যমতে, আহত ব্যক্তিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজটি কঠিন ছিল। আর তা করতে গিয়ে বাহিনীটি প্রত্যাশা অনুযায়ী অগ্রসর হতে পারছিল না।
তারনাভস্কি স্বীকার করেছেন, এই অভিযান চালাতে গিয়ে কিয়েভকেও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় এই জেনারেল বলেন, ‘যতটা জয়ের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছি, এটি ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। কেন? কারণ, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের শক্তিশালী ও সেরা সেনাদের হারাতে হচ্ছে। সুতরাং এখন আমাদের নির্দিষ্ট এলাকাগুলোর দিকে মনযোগ দিতে হবে এবং কাজ শেষ করতে হবে। আমাদের সবার জন্য এটা যত কঠিনই হোক না কেন, শেষ করতে হবে।’
এর আগে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পাল্টা অভিযানের গতি নিয়ে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। এক টেলিগ্রাম পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘সবকিছুর পরও এবং যে যা-ই বলুক না কেন, আমরা তো এগোচ্ছি। আর এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’
মন্তব্য করুনঃ