সব জয়েরই একজন নেপথ্য নায়ক থাকে। যিনি সব সময় প্রদীপের আলোয় থাকেন না। আবার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতেও ভূমিকা রাখেন। আর্জেন্টিনার তেমনই এক নায়ক আনহেল ডি মারিয়া। ফাইনাল ম্যাচেও যিনি দলের জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
এলেন, খেললেন, জয় করলেন। কেঁদেছেন, আর নিজের খুশির কান্নায় কাঁদিয়েছেন কোটি কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থককে।
২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইনজেকশন নিয়ে খেলতে চাইলেও কোচের মন জয় করতে পারেননি ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার ৩৬ আর নিজের আট বছরের মাথায় সেই আক্ষেপ ঘোচালেন কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা উচিয়ে।
প্রথম গোল আসে তার বদৌলতে। দ্বিতীয় গোলটা নিজে করে চোখের পানি যেনো আটকাতে পারছিলেন না! কোচ তুলে নিলেন ডি মারিয়াকে। এরপরই খেলায় নাটকীয় মোড়। যে নাটকে খেলা গড়ায় পেনাল্টি অবধি।
ডি মারিয়া বাকিটা সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। তার অভাবটা যে হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছে দল। ফ্রান্সে কিংবা আর্জেন্টিনা – প্রতিটা গোলেই কেঁদেছেন ডি মারিয়া। সমর্থকদেরও কাঁদিয়েছেন।
২০০৮ অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়কও ছিলেন তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি ফাইনাল। ২০২১ বিশ্বকাপে গোল করে আর্জেন্টিনাকে ২৮ বছর পর এনে দেন কোনো মেজর শিরোপা। এই যে শেষের শুরু, বলতে পারেন, আলবিসেলেস্তাদের নতুন এক শুরু। ফিনালিসিমার পর এবার অধরা বিশ্বকাপ শিরোপাও এলো হাতে।
আর্জেন্টিনার অনেক তারকাকেই নিয়েই মাতামাতি হয়েছে, হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। ফাইনালেও মেসি, মার্টিনেজদের সামনে হয়তো লাইমলাইট পাবেন না তিনি। তবু ডি মারিয়া যেন সবার চেয়ে আলাদা।
তিনি এক অদম্য যোদ্ধা, তিনি স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনিই আর্জেন্টিনার ইতিহাসের অন্যতম এক নায়ক। ভামোস আনহেল ডি মারিয়া; এক নেপথ্য নায়ক।
মন্তব্য করুনঃ