স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিকেটের টি-২০ যুগ যেন এসেছিল ব্যাটারদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিনোদনের সবটা জুড়েই ছিল মারকুটে ব্যাটিং। ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ ভুলে রানের উৎসব করাই এখানে মূল উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখা হয় এটিকে। পিচও তৈরি হয় ব্যাটারদের কথা মাথায় রেখে।
তবে এবার আইপিএলে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা যেতে পারে। ব্যাটারদের পাশাপাশি খেলাকে বোলারদের জন্য আদর্শ করতে আইসিসির নিয়ম বদলেছে আইপিএলের নীতিনির্ধারণি কমিটি। পরিবর্তন মূলত এসেছে বাউন্সার বলের দিক থেকে। আসন্ন আইপিএলে ওভারপ্রতি দুটি বাউন্সার দেওয়ার সুবিধা পাবেন বোলাররা। মূলত খেলাকে আরও আকর্ষণীয় করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
যদিও আইসিসির দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ওভার এবং সময় বিবেচনায় এখানে ওভারপ্রতি মাত্র ১টি বাউন্স দিতে পারবেন বোলাররা। ওয়ানডে এবং টেস্টে যথারীতি ২টি করে বাউন্স দেওয়ার বিধান রয়েছে।
আইপিএলের এমন সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয় পেসার জয়দেব উনাদকাট। দুই বাউন্সারের বিধান নিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাতে এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় এমন কিছু বোলারদের জন্য ব্যাটসম্যানদের তুলনায় বাড়তি সুবিধা দেবে। কারণ, আমি যদি একটা স্লোয়ার বাউন্সার করেই ফেলি, আগে ব্যাটসম্যান জানতো তার সামনে এমন আর কিছু নেই। তবে এবার ওভারের প্রথমদিকে একটা বাউন্সার দিলেও, পরের জন্য আরও একটি বাউন্সার সুবিধা থাকছে।’
এমনকি ব্যাটসম্যানদের জন্যেও এটি ভাল এক সুযোগ বলে মনে করেন উনাদকাট, ‘যারা বাউন্সারে দূর্বল, তাদেরকেও এখানে ভাল হতে হবে। একইসঙ্গে এটি বোলারদের ভাণ্ডারে নতুন এক অস্ত্র হিসেবে যুক্ত হবে। তাই আমার মনে হয়, এই ছোট পরিবর্তন খুব বড় প্রভাব রাখবে। আর একজন বোলার হিসেবে আমার মতে, এমন কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে বাউন্সার ছাড়াও আইপিএলে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের আগের পদ্ধতি এবারেও বহাল থাকছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এক দল মূল ১১ জন খেলোয়াড়ের বাইরেও আরও ৪ জনের সাবস্টিটিউট খেলোয়াড় রাখতে পারবে। ম্যাচের যেকোনো পর্যায়ে তাদের যেকোনো একজনকে ব্যবহার করতে পারবে।
তবে দলে যদি চারজন বিদেশী খেলোয়াড়ের কোটা আগেই পূরণ করা থাকে, তবে ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড়কে অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে। ২০২৩ সাল থেকে চালু হওয়া এই নিয়ম আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে প্রথম আসরেই।
মন্তব্য করুনঃ