লিওনেল স্কালোনির এক মেসেজ আর এক বৈঠকে বদলে যাওয়া মেসিকে দেখছে ফুটবল বিশ্ব। ২০১৮ সালে ফুটবল থেকে বিদায় নেয়া মেসি ফিরেছেন আরো বেশি শানিত হয়ে এই স্কালোনির কল্যাণেই। আগের ৪ বিশ্বকাপে এলএমটেন যা করেছেন, প্রায় তাই করে ফেলেছেনে লিওনের স্কালোনির অধিনে এক বিশ্বকাপেই।
স্প্যানিশ মহাতারকা জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন, এটা পরিষ্কার যে মেসি সবার উপরে এবং অন্য লেভেলের। যে এটা দেখেনা সে অন্ধ। তার থেকে এগিয়ে রেখে স্প্যানিশ ও সাবেক বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকে বলেছিলেন, কোন সন্দেহ ছাড়াই মেসি বিশ্বসেরা এবং আমার কাছে সে ইতিহাসের সেরা। পর্তুগিজ ঔপন্যাসিক অ্যান্টোনিও লোবো বলেন, জীবনে গুরুত্বপূর্ণ তিন-চারটি জিনিস প্রয়োজন। বই, বন্ধু, নারী এবং মেসি ।
এতক্ষণ যে লাইনগুলো শুনেছেন, সেগুলো প্রতিষ্ঠিত কোচ, সাবেক ফুটবলার ও উপন্যাসিকের করা।
একজন মেসিকে নিয়ে এমন গল্প ফুরাবার নয়। কাতার বিশ্বকাপে লিও যা করে দেখিয়েছেন, সে গল্প বার বার ঘুরেফিরে আসবে ইতিহাসের পাতায়।
অথচ কাতার বিশ্বকাপে নিজের সেরা ছন্দে থাকা মেসির এ আসরে খেলারই কথা ছিলো না। আরো ৪ বছর আগে হতাশায় মুষড়ে পড়ে বিদায় বলেছিলেন জাতীয় দলকে।
সেই মেসি আকাশী-সাদা জার্সিতে ফিরেছেন। এবং আগের থেকেও বিধ্বংসী রূপে ফিরেছেন। আর এই মেসিকে ফেরানোর নেপথ্যে ছিলেন স্কালোনি।
আর্জেন্টিনা কোচের একটি মেসেজ আর এক বৈঠকে মেসি ফিরেছিলেন আকাশী -সাদা জার্সিতে। আর এই স্কালোনির নেতৃত্বেই জাতীয় দলের জার্সিতে আরো ক্ষুরধার হয়েছেন এলএমটেন। আগের ৪ বিশ্বকাপে মেসি যা করেছেন তার প্রায় সমান করেছেন স্কালোনির নেতৃত্বে ১ বিশ্বকাপেই।
স্কালোনি এবং মেসির রসায়ন আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছে কোপা আমেরিকা। নিয়ে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনাল মঞ্চে। এই রসায়ন ২০১৮ থেকে ভাবলে ভুল করবেন। এই রসায়ন তারও আগ থেকে।
ফিরে যাওয়া যাক ২০০৫ সালে। আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির অভিষেক ম্যাচে। যে ম্যচে ৪ নাম্বার জার্সি পরিহিত ফুটবলারটি আর কেউ নন, এই স্কালোনিই। মেসির লাল কার্ড খাওয়ার এই ম্যাচে রেফারির সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াতেও পিছ পা হননি বর্তমান আর্জেন্টাইন কোচ। শুধু তাই নয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, সেসময় ড্রেসিং রুমে মেসিকে শান্ত করতে অন্যতম ভূমিকাও ছিলো এই স্কালোনির।
সেই থেকেই মেসির অন্যতম এক ভরসার নাম স্কালোনি। দুইজন দুজনকে বোঝেন। দুইজনই ভালো করে জানেন তাদের লক্ষ্য। কাতারে এবার সেই লক্ষ্যের দিকেই ছুটে চলছেন তারা।
মন্তব্য করুনঃ