স্পোর্টস ডেস্ক:
গেল অক্টোবর মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাজেভাবে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। যেখানে কন্ডিশনের বিবেচনায় দারুণ ফলাফলের আশা করেছিল দল। আসরটিতে গ্রুপে পর্বের নয় ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে হারেন সাকিব-শান্তরা। সেই রেশ না কাটতেই এইবার টাইগারদের নজর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র আর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। আর সেই আসরটির জন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হওয়া তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই প্রস্তুতি শুরু করবেন টাইগাররা। গতকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজসহ ১১টি কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তাতে বলাই যায় খুব বেশি একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হবে না টাইগারদের। তবে এর সঙ্গে রয়েছে বছরের শুরুতে রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সব কিছু মিলিয়ে যদি হিসাব করা হয় তাহলে আবার খুব কম ম্যাচও আবার নয়। তাই এর মধ্যেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চান টাইগার কোচ। বলেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে নজর রাখতে চাই। এখান থেকেই আমাদের পরিকল্পনাটা করতে চাই। আমরা আর ১১টি ম্যাচ খেলতে পারব, সঙ্গে বিপিএলও আছে। আমাদের কম্বিনেশনটা বের করার চেষ্টা করব, বিশ্বকাপে আমরা কীভাবে খেলতে চাই সেটার ভূমিকাও দিয়ে দেওয়া হবে। এটাই পরিকল্পনা। ছেলেদের জন্য এটা পরীক্ষার প্রথম ধাপ। এখানে যারা আছে তাদের বেশির ভাগই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে। নির্বাচনটাও এভাবে হয়েছে আর নির্বাচকরাও ঠিক এভাবেই ভাবছে। এখন কাজটা করে দেখানো হচ্ছে ছেলেদের কাজ।’
ম্যাচ যেহেতু কম, তাই অনুশীলন নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না হাথুরু। প্রস্তুতি থেকে মূল ম্যাচের প্রতিই মনোযোগ তার। তিনি বলেন, ‘অনুশীলন আদর্শ হলো নাকি হলো না, সেটা নিয়ে খুব বেশি ভাবার সুযোগ নেই। কারণ আমরা মাত্র এই কয়েকটি ম্যাচই খেলতে পারব। এই সময়ের মধ্যে আমাদের ভূমিকা এবং পরিকল্পনাটা ঠিক করতে হবে।’
এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে অতিমানবীয় ব্যাটিং প্রদর্শন করেছিলেন সৌম্য সরকার। ঐ ম্যাচে গোটা দল ব্যাট হাতে ব্যর্থ থাকলেও ব্যাতিক্রম ছিলেন এক মাত্র সৌম্য। খেলেন এক রেকর্ড গড়া ইনিংস। ঐ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে ১৫১ বলে আসে ১৬৯ রান। আর ঐ ইনিংস খেলার পর সৌম্যর ওপর আরো ভরসা বেড়েছে হাথুরুর। এ প্রসঙ্গে টাইগার হেড মাস্টার বলেন, ‘সৌম্য যেভাবে পারফরম করেছে তাতে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমি সব সময়ই জানতাম তার এভাবে ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। আমি যখন ছিলাম সেটা সে আগেও দেখিয়েছে। আমরা সবাই বলি ক্লাস ইজ পারমানেন্ট। ফর্মটা হয়তো নানাবিধ বিষয়ে প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে মাথার ভেতরে কী চলে, তখন বলা মুশকিল। যদি একবার নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় তাহলে নিজের ভূমিকা ও পরিবেশ নিয়ে আরো স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা যায়। তখন নিজের সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে নেওয়া যায়।’
তার পরই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও সৌম্যের ওপর নিজের ভরসা রয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সে যদি এভাবে পরিষ্কার মাথা নিয়ে থাকে, তাহলে টি-টোয়েন্টিতেও তার পারফরম না করার কোনো কারণ দেখি না।’ তবে রানে ফেরার পুরো কৃতিত্ব সৌম্যকেই দিয়েছেন হাথুরুসিংহে, ‘আমরা যে কাজটা ভালো করেছি সেটা হলো আমরা তাকে বিশ্বাস করেছি, তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছি এবং পুরো দল তাকে সমর্থন দিয়েছে। তাতে মনে হয়ে সে ফর্ম ফিরে পেয়েছে।’
মন্তব্য করুনঃ