স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার (৪ নভেম্বর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে অজিরা। ৩ বল বাকি থাকতেই ২৮৬ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। দলের পক্ষে লাবুশানে করেন সর্বোচ্চ ৭১ রান। ইংলিশদের পক্ষে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অজিরা। দলীয় ১১ রানেই ক্রিস ওকসের বলে ফিরে যান ওপেনার ট্রাভিস হেড। ফেরার আগে তিনি করেন ১০ বলে ১১ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও ফিরে যান দ্রুতই। ৩৮ রানেই অস্ট্রেলিয়া হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ওকসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন মাত্র ১৫ রান। এরপর স্মিথ-লাবুশানে জুটি অজিদের হাল ধরেন। তবে ৭৫ রানের এই জুটি ভাঙ্গেন ইংলিশ লেগস্পিনার আদিল রশিদ। তার বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে স্মিথ করেন ৪৪ রান। স্মিথের পর দ্রুতই জশ ইংলিশকে তুলে নেন রশিদ। এবার মঈন আলী নেন ক্যাচ। ১১৭ রানেই অজিরা ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে।
এবার ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেয়ার চেষ্ঠা করেন লাবুশানে। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকও। তবে ৭১ রানে মার্ক উডের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লাবুশানে। এই ইনিংস খেলার জন্য তিনি ৮৩ টি বল মোকাবিলা করেন। ইনিংসে তিনি সাতটি চার মারেন। তার বিদায়ে ১৭৮ রানেই অস্ট্রেলিয়া হারায় ৫ উইকেট।
এবার গ্রিন ও স্টয়নিস ধরেন হাল। এই জুটিতে ওঠে ৪৫ রান। তবে ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থাকতে উইলির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন গ্রিন। তার বিদায়ে ভাঙ্গে এই জুটিও। ৫২ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটি খেলার পথে তিনি চার মারেন পাঁচটি। দলীয় ২৪১ রানে ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটার স্টয়নিস। তিনি ৩২ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে করেন ৩৫ রান। অধিনায়ক কামিন্সের দ্রুত বিদায়ে আড়াইশোর আগেই (২৪৭ রান) ৭ উইকেট হারায় অজিরা।
মন্তব্য করুনঃ